কলকাতা, ১১ জুলাই (হি.স.): মাসখানেক আগেও করোনার বিশেষ কোনও দাপট ছিল না পশ্চিমবঙ্গে, করোনা-মুক্ত হওয়ার দিকে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছিল বঙ্গভূমি। কিন্তু, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে করোনার সংক্রমণ ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী, সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী লেখচিত্র, ক্রমাগত সচেতনতা প্রচার সত্ত্বেও মাস্ক ছাড়াই পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ। লোকাল ট্রেন হোক অথবা মেট্রো, বাস হোক অথবা অটো প্রায় সর্বত্রই মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে একশ্রেণীর মানুষকে।
এত গেল শহরের কথা, শহরতলি ও গ্রামবাংলাতেও একই ছবি ধরা পড়ছে। মাস্কহীন টোটো চালক, যাত্রীদের মুখেও মাস্ক নেই, মোটরভ্যান চালক, সাইকেল আরোহী, পথচারীদের কারও মুখে মাস্ক দেখা যাচ্ছে না। প্রশ্ন করতেই নানা ‘অজুহাত’ শোনা যায় তাঁদের মুখ থাকে। কিন্তু, করোনা তো আর কোনও অজুহাত শুনবে না, এই সুযোগেই তো নিজের দৌরাত্ম্য বাড়িয়ে চলেছে সে। শুধু যানবাহন নয়, বিভিন্ন বাজারেও দেখা যাচ্ছে একই পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে ফের শক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে নাগরিক সমাজ।
করোনার জন্য মাস্ক পরা এখন ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে, তা বলাইবাহুল্য। কিন্তু এখন রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের একটি অংশের মধ্যেই ঠিক ভাবে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা দেখা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা। কোভিড এখনও যে যায়নি, তা টের পাওয়া যাচ্ছে বিগত কিছু দিন ধরে। রাজ্য তথা সমগ্র দেশেই করোনার সংক্ৰমণ বাড়ছে। ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে, এই পরিস্থিতিতে একটাই স্বস্তির বিষয় হল মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। চিকিৎসকেরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন, আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ হল, মাস্ক খুলে ঘুরে বেড়ানো এবং কোভিড বিধিকে মেনে না চলা। তাঁদের কথায়, করোনা ভাইরাস ছড়ায় ড্রপলেটের মাধ্যমে। সেখানে সব থেকে বড় রক্ষাকবচ মাস্ক।