কলম্বো, ৯ জুলাই (হি. স.) : শ্রীলঙ্কায় এই মুহূর্তে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। গণবিক্ষোভে জ্বলছে গোটা দেশ। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। শনিবার বিকেলে সর্বদলীয় বৈঠকে ইস্তফা দিলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংঘে । দেশজু়ড়ে গোতাবায়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যোগ দিলেন সনৎ জয়সূর্যও।
বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার জয়সূর্য টুইটারে লিখেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার মানুষদের পাশে সব সময় দাঁড়ানোর জন্যে আমি তৈরি। খুব তাড়াতাড়ি জয়ের উচ্ছ্বাসে মাতব। কোনও হিংসা ছাড়া সেটা হোক এটাই চাই।’ তার পরেই আর একটি টুইটে গোতাবায়ার বিরুদ্ধে লেখেন, ‘দখল সম্পূর্ণ হয়েছে। আপনার রাজত্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। মানুষের শক্তি অবশেষে জয় পেয়েছে। এ বার অন্তত আপনি পদত্যাগ করুন।’
প্রসঙ্গত, ১২ বছর আগেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন জয়সূর্য। মাহিন্দা রাজাপক্ষের নেতৃত্বাধীন ইউএফপিএ সরকারের মন্ত্রীও হন। ২০১৫ সালে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর ভোটে লড়েননি। তবে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁকে মাঝেমাঝেই মুখ খুলতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুর থেকেই দ্বীপরাষ্ট্রের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। বাসে, ট্রেনে, গাড়িতে করে দলে দলে মানুষ আসতে থাকেন রাজধানী কলম্বোয়। বিপদ আঁচ করে শুক্রবার রাতেই প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয় সেনা। প্রবল উৎকণ্ঠায় রাত কাটলেও জনতার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে সকালে। কার্ফু উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ কলম্বোয় রাজাপক্ষের সরকারি প্রাসাদ ঘিরে ধরেন। কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছুড়ে, শূন্যে গুলি ছুড়েও তাঁদের রুখতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। একটি অংশের দাবি, তাতেই আরও উত্তপ্ত হয় জনতা। এক সময় ব্যারিকেড ভেঙে স্রোতের মতো মানুষ ঢুকে পড়তে শুরু করেন রাজাপক্ষের প্রাসাদে। দেশের সাধারণ মানুষদের সঙ্গে মিশে গিয়ে আন্দোলনে অংশ নিলেন