গুয়াহাটি, ৬ জুলাই (হি.স.) : অসমের গরিয়া, মরিয়া, দেশি, জলাহ এবং সৈয়দ, ইসলাম ধর্মাবলম্বী পাঁচ জনগোষ্ঠীকে অসমিয়া খিলঞ্জিয়া (ভূমিপুত্র) মুসলমানের স্বীকৃতি দিয়েছে হিমন্তবিশ্ব শর্মার মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত রাজ্য ক্যাবিনেটের বৈঠকে গুরুত্বপূৰ্ণ এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে।
ক্যাবিনেট বৈঠকের পর জনতা ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী কেশব মহন্ত এই খবর জানিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী রণোজ পেগু এবং জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি এবং পৰ্যটন দফতরের মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়াকে দুপাশে বসিয়ে ক্যাবিনেটে গৃহীত সিদ্ধান্তের বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, অসম সরকার কর্তৃক গঠিত সাতটি সাবকমিটির পরামৰ্শ অনুযায়ী রাজ্য ক্যাবিনেট অসমের ইসলাম ধৰ্মাবলম্বী পাঁচটি জনগোষ্ঠীকে অসমিয়া খিলঞ্জিয়া মুসলমানের স্বীকৃতি প্ৰদানে অনুমোদন জানিয়েছে। এই জনগোষ্ঠীগুলি যথাক্রমে গরিয়া, মরিয়া, দেশি, জলাহ এবং সৈয়দ।
এছাড়া ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্ৰতিবছর হাইস্কুল শিক্ষান্ত পরীক্ষা (মাধ্যমিক)-য় প্ৰথম বিভাগে উত্তীৰ্ণ ছাত্রছাত্রীকে এতদিন আনন্দরাম বরুয়া পুরস্কারের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ প্ৰদান করা হত। এখন থেকে এর পরিবৰ্তে সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের ১৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের পুরসভার সভাপতি (পুরপতি) এবং উপ-পুরপতিদের পারিতোষিক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করা হয়েছে। এখন থেকে পুরপতিরা ১০ হাজারের স্থলে ১৫ হাজার এবং উপ-পুরপতিদের ৭,০০০-এর বদলে ১২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া পুরসদস্যদের ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজারল টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেবল তা-ই নয়, অ্যান্ড অব লাইফ যানবাহনের চলাচল বাতিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অসম যানবাহন স্ক্ৰ্যাপেজ নীতি-২০২২-তে অনুমোদন জানিয়েছে ক্যাবিনেট। সে অনুযায়ী এখন থেকে ফিটনেস-বিহীন গাড়ি স্ক্ৰ্যাপ হিসেবে গণ্য করা হবে। ১৫ বছর পুরনো গাড়ি এখন স্ক্ৰ্যাপ হিসেবে চিহ্নিত করবে সরকার। পুরনো যানবাহনগুলি প্ৰদূষণ সৃষ্টির কারক, এজন্য ওই সব গাড়িগুলি নষ্ট করা, পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করার ব্যাপারে নীতি প্ৰস্তুত করতেও সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, পুরনো গাড়ি নষ্ট করে মালিক যদি নতুন গাড়ি কেনেন, তা-হলে সেক্ষেত্রে নতুন গাড়ির দামে সংশ্লিষ্ট মালিক ২৫ শতাংশ পৰ্যন্ত রেহাই পাবেন।
মন্ত্রী মহন্ত জানান, প্ৰাক্তন সেনা এবং সেনাদের বিধবা পত্নীদের জন্য সম্পত্তি কর রেহাই দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যাবিনেট। এজন্য গুয়াহাটি পুরনিগম আইন ১৯৬৯ এবং অসম পুর আইন ১৯৫৬-এ সংশোধনী আনা হবে।