কলকাতা, ১৯ জুন (হি.স.): তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিরোধীদের দ্বিতীয় বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক উপনির্বাচনের প্রচারে ত্রিপুরা যাবেন। সেখানে প্রচার শেষ করেই তিনি দিল্লি রওনা দেবেন।
গত ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী শিবিরের যে বৈঠক ডেকেছিলেন, তাতেই মোটামুটি প্রাথমিক আলোচনা সেরে ফেলেছে বিরোধী দলগুলি। ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একজোট হয়েই প্রার্থী দেবে বিরোধী শিবির। এমন একজনকে প্রার্থী করা হবে যিনি দেশের সংবিধানের আদর্শকে রক্ষা করবেন। প্রার্থী কাকে করা হতে পারে তা নিয়েও প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা ১৫ জুনের বৈঠকে হয়েছে। তাছাড়া প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে ওই বৈঠকের পরেও নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন বিরোধী শিবিরের প্রথম সারির নেতারা। এই অবস্থায় মঙ্গলবারের সংসদের অ্যানেক্স হলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে দিল্লিতে শরদ পওয়ারের ডাকা বিরোধী দলগুলির ওই বৈঠকে তৃণমূলের তরফে উপস্থিত থাকতে পারেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যোগ দেবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, তারা কোনও নাম প্রস্তাব করবেন না।
বিরোধীদের প্রথম বৈঠকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মহাত্মা গান্ধীর পৌত্র তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা এবং শরদ পাওয়ারের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। শরদ ও ফারুক ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না। ১৫ জুনের বৈঠকে শরদ পাওয়ার জানান, তিনি রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে রাজি নন। যতদিন বাঁচবেন, ততদিন মানুষের সেবা করে যাবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তাবড় বিরোধী নেতারা অনেক অনুরোধ করেও পাওয়ারকে রাজি করাতে পারেননি। তৃণমূল নেত্রী এর পর জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা কিংবা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম প্রস্তাব করেন। ফারুখের ছেলে ওমর আবদুল্লা জানিয়েছিলেন, শ্রীনগরে ফিরে গিয়ে ফারুকের সঙ্গে কথা বলে কী হল তা জানাবেন। পরে ফারুখ আবদুল্লা বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন, তিনি ভোটে লড়তে আগ্রহী নন।
১৫ জুনের বৈঠকের ফাঁকেই মমতা কথা বলেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর সঙ্গেও। এর আগে বিরোধীদের প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে যান তিনি। এর পরেও হার প্রায় নিশ্চিত জেনেও তিনি ফের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইবেন না বলেই মনে করছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে সর্বসম্মত প্রার্থী খুঁজে বার করাটা বিরোধীদের পক্ষে বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। আপাতত বিরোধীদের দ্বিতীয় বৈঠকের দিকের নজর রাজনৈতিক মহলের।