ব্যাংকক, ১০ জুন (হি.স.) : জনসমক্ষে গঞ্জিকাসেবনে নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখে গাঁজা চাষকে বৈধ ঘোষণা করল থাইল্যান্ড। তাইল্যান্ডই এশিয়ার প্রথম দেশ যারা গাঁজা চাষকে বৈধ বলে ঘোষণা করল।
গাঁজা যেমন নেশার দ্রব্য, তেমনই তার রয়েছে একাধিক ঔষধি গুণ। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার গাঁজা চাষকে বৈধ ঘোষণা করল থাইল্যান্ড। শুধু চাষই নয়, উপকারী খাদ্য ও পানীয় হিসেবেও গাঁজাকে বৈধ বলে জানিয়েছে তাইল্যান্ড সরকার। তবে জনসমক্ষে গঞ্জিকাসেবনে আগের মতোই থাকছে নিষেধাজ্ঞা। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এই বিষয়ে এক বিবৃতিতে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোভিডের পর গোটা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতই দুর্বল হয়েছিল থাইল্যান্ডের অর্থনীতি। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। “তবে নেশার জন্য গাঁজা ব্যবহারের বিরুদ্ধে এখনও আইন রয়েছে। তেমন কাজ হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “বিদেশি পর্যটকরা ভাববেন না যে থাইল্যান্ডে এলে যথেচ্ছ গাঁজা খাওয়া যাবে।”
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালেই গাঁজা মজুত রাখাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছিল থাইল্যান্ড সরকার। সূত্রের খবর, এরপরেও সে দেশে গাঁজার অবৈধ আমদানি বাড়ছিল। কারণ গাঁজা চাষে নিষেধাজ্ঞা ছিল। মনে করা হচ্ছে, নয়া সরকারি পদক্ষেপে অবৈধ আমদানি কমবে। গাঁজা চাষে উৎসাহ দিতে ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের ১০ লক্ষ গাঁজা চারা বিলি করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে তাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে। প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, জনসমক্ষে গাঁজা খেলে তিন মাসের জেল ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।