হাফলং (অসম), ২৫ মে (হি.স.) : হাফলং-শিলচর ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ককে হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ মে থেকে ডিমা হাসাও জেলায় নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার দরুন হাফলং-শিলচর ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস ও জাটিঙ্গা নদীর জলের স্রোতে বিভিন্ন এলাকা নিশ্চিহ্ন হওয়ার পাশাপাশি কাপুরছড়ায় কংক্রিটের তৈরি সাবওয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ফলে এই সড়কটি প্রায় দশ দিন বন্ধ থাকার পর কিছুটা মেরামত করে সাময়িকভাবে হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলেও ফের বৃষ্টিপাত হলে আবারও তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রবল জলপ্রলয়ে ডিমা হাসাওয়ের সব কয়টি সড়ক পথ ধ্বংস হয়ে গেছে। কোনও কোনও স্থানে রাস্তার চিহ্নই নেই। এ সব স্থানে পুনরায় রাস্তা নির্মাণ প্রায় অসম্ভব। কিছু এলাকায় বিকল্প রাস্তা নির্মাণের চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। একই অবস্থা হাফলং-শিলচর ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়কের। জাটিঙ্গা থেকে হারাঙ্গাজাওয়ের মধ্যে বহু স্থানে রাস্তা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়ে জাটিঙ্গা নদীর সঙ্গে মিশে গেছে। অনেক স্থানে রাস্তা ভেঙে নদী গতিপথ নিজে নিজেই বদল করে ফেলেছে। তাই এবার নিশ্চিহ্ন হওয়া এই সড়ক পথের বিভিন্ন স্থানে নদীর মধ্য দিয়ে পাথর মাটি ফেলে সাময়িকভাবে হালকা যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
তবে বৃষ্টি হলে নদীর জলের স্রোতে এই রাস্তা আবারও ভেঙে নিয়ে যাবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। কারণ হঠাৎ করে পাহাড়ি নদীর জল বেড়ে গেলে ভয়ঙ্কর বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। তবে জলপ্রলয় ভূমিঙ্খলনের ফলে লামডিং-বদরপুর ব্রডগেজ রেলপথে ভূমিঙ্খলন ও বন্যার দরুন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় হাফলং-শিলচর ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক জোড়াতালি দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হলেও ওই জাতীয় সড়ক এখন বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে হাফলং-শিলচর-হাফলঙের মধ্যে হালকা যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। তবে বিপদের ঝুঁকি নিয়েই এবার এই পথ দিয়ে যাতায়ত করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এদিকে আজ বুধবার গুয়াহাটি থেকে কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার ও বিশেষজ্ঞ আধিকারিক ডিমা হাসাও জেলার বিধ্বস্ত পথঘাট পরিদর্শন করতে এসেছেন। বিশেষজ্ঞ দলটি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কপথগুলি পরিদর্শন করে পুনরায় কীভাবে পুনর্নির্মাণ সম্ভব এনিয়ে ডিপিআর তৈরি করবেন বলে জানা গেছে। তবে জেলার বিধ্বস্ত সড়কগুলি সাময়িকভাবে সচল করে তুলতে পার্বত্য পরিষদ, জেলাপ্রশাসন ও লোকনির্মাণ (পূর্ত) বিভাগ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।