নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ মে৷৷ সুকলপড়ুয়া নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের জালে অভিযুক্ত যুবক৷ আটদিনের মাথায় পুলিশের সাড়াশী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তকে আদালতের নির্দেশে চৌদ্দ দিনের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়৷ ঘটনা বিগত ২১ ফেব্রুয়ারি সংগঠিত হলেও গ্রাম্যমাতববদের টানা হ্যাচরায় থানায় সুনির্দিষ্ট মামলা গত ২৬ এপ্রিল৷
বিস্তারিত খবর দিয়ে কল্যাণপুর থানার পুলিশ জানায় গত ২৬শে এপ্রিল থানা এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের জনৈক জনজাতি পরিবার সুকলপড়ুয়া এক নাবালিকা কন্যা ধর্ষিতার অভিযোগ জানায়৷ পরিবারের তরফ থেকে ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে জনৈক পরিমল দেববর্মা (৪২) পিতা – আজারি দেববর্মা বাড়ি সিধাই থানা এলাকার ঘনিয়া সাধুপাড়ায়৷ অভিযুক্ত যুবক বেশ কয়েক বছর যাবৎই কল্যানপুর থানা এলাকার তুইহাচিনবাড়ি এডিসি ভিলেজের তুলাবাড়িতে থাকে৷ নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগে জানা যায় ঐদিন তথা ২১ ফেব্রুয়ারি নাবালিকা সুকল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নির্জনতার সুযোগে অভিযুক্ত পরিমল দেববর্মা রাস্তায় জোরপূর্বক নাবালিকাকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে৷ নাবালিকা ঘটনাটি পরিবারকে জানালে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় মাতববররা বিষয়টিকে গ্রাম্য সালিশিতে শেষ করার পথ দেখায়৷ যথারীতি সালিশি সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ বাবদ অভিযুক্তকে পরিশোধ করার ফরমান জারি হয়৷ কিন্তু এরই মধ্যে ঘটনাটি ভিন্ন দিকে মোড় দিলে অবশেষে দীর্ঘ দুই মাস পর কল্যাণপুর থানায় হাজির হয় নাবালিকার পরিবার৷ থানায় গৃহীত মামলা হাতে নিয়েই ময়দানে নামে পুলিশ৷
মামলা নং – ১৮/২০২২৷ কয়েকদিন ধরেই কল্যাণপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে সম্ভাব্য বেশ কয়েকটি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে রাখলেও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না৷ শেষ পর্যন্ত কল্যাণপুর থানার এস আই বিশ্বজিৎ দাস ও হাবিলদার হিমানি দেববর্মা গোপন খবরে গতকাল রাত্রে অভিযুক্ত পরিমল দেববর্মাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে৷ আজ খোয়াই আদালতে হাজির করা হলে বিচারকের নির্দেশে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চৌদ্দ দিনের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়৷