নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ মে৷ পণের দায়ে বধু নির্যাতনের ঘটনা রাজ্যের ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে৷ রাজধানী আগরতলা শহর সংলগ্ণ চারিপাড়া এলাকায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে গুরুতর ভাবে যখম করেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন৷ নির্যাতিতা গৃহবধূর নাম রিয়া সরকার৷ এ ব্যাপারে অরুন্ধতী নগর থানায় একটি সুনির্দিষ্ট মামলা দায়ের হয়েছে৷
ঘটনার বিবরণে জানা যায় প্রায় দেড় বছর আগে তেলিয়ামুড়া এলাকার রিয়া সরকারের সঙ্গে ভালোবেসে বিয়ে হয়েছিল অরুন্ধতীনগর চারিপাড়ার রাকেশ সরকারের৷ তাদের একটি সন্তানও রয়েছে৷ বিয়ের পর কিছুদিন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই চলছিল৷ কিন্তু সাম্প্রতিককালে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহের সৃষ্টি হয়৷ গৃহবধূ রিয়াকে বাপের বাড়ি থেকে নগদ টাকা পয়সা এনে দেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করেন স্বামী, শাশুড়ী এবং ননাস৷ রিয়ার বাপের বাড়ি আর্থিক অবস্থা ভালো না৷ তাদের চাহিদা মতো টাকা পয়সার জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না৷ চাহিদা মতো টাকা পয়সা এনে দিতে না পারায় রিয়ার ওপর নির্যাতন ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ রবিবার গৃহবধূকে মারধর করে গুরুতর ভাবে জখম করা হয়৷ স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান৷ বর্তমানে ওই গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷
গৃহবধূ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে৷ এমনকি তার ছোট্ট শিশু সন্তানকে তার সঙ্গে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এসব বিষয় নিয়ে বাক-বিতণ্ডা চরম আকার ধারণ করলে গৃহবধূর স্বামী রাকেশ সরকার এবং শাশুড়ি ও ননাস মিলে তাকে প্রচণ্ড মারধর করেন৷ স্থানীয় লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন৷ ঘটনার খবর পেয়ে জিয়ার বাপের বাড়ির লোকজন হাসপাতালে ছুটে আসেন৷ এ ব্যাপারে থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ অভিযুক্ত স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আক্রান্ত গৃহবধু এবং তার বাপের বাড়ির লোকজনরা৷