BRAKING NEWS

Protest : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বন্টনে দ্বিচারিতা ও স্বজনপোষণের অভিযোগ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে

চুড়াইবাড়ি, ১৫ এপ্রিল৷৷ এবার উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকাধীন বরগুল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বন্টনকে কেন্দ্র করে দ্বিচারিতা ও স্বজনপোষণের একগুচ্ছ অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে৷ চলতি অর্থবছরের ডি লিস্টে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বরগুল গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২৬৪ জন সুবিধাভোগীর নাম নথিভুক্ত হয়েছে৷ তার মধ্যে বাদ পড়েছে প্রায় ৩০ জনের নাম৷আর তাতে গোটা পঞ্চায়েত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷

স্থানীয় পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পিয়ালি দেবনাথ জানান, তার বাড়িতে আজ পর্যন্ত একটি লেট্রিন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি৷ স্বামী দিনমজুর ও সে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হয়েও বাড়ি বাড়ি কাপড় ফেরী দিয়ে সংসার প্রতিপালন করেন৷ তিনি বলেন,তার স্বামী পান্নালাল দেবনাথের নাম ডি লিস্টে থাকা সত্ত্বেও কি অদৃশ্য কারণে বাদ পড়ে যায়৷ কিন্তু তাদের বসত ঘরটি বাঁশ বেতের জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে৷ চার নং ওয়ার্ডের সমরেন্দ্র দেবনাথের মাটির বসত ঘরটি যখন তখন ভেঙে পড়ার উপক্রম৷ ঝিরঝির বৃষ্টি আসলেই ছাউনি দিয়ে জল পড়ে৷ তবুও তাদের ভাগ্যে জোটেনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর৷

অপরদিকে তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পাতারুন নেছার স্বামী মারা যাবার পর সন্তানদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়লে আত্মীয় পরিজন ও স্থানীয়রা যৌথভাবে ছোট্ট একটি পাকা ঘর তৈরি করে দেন৷ যদিও বর্তমানে পাকা ঘরটির করুন দশা৷পাতারুনের অভিযোগ,তার নামটি গ্রাম সভাতে পাশ হলেও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ কেটে দেয়৷ তারপর পঞ্চায়েত,ব্লক ও জেলা শাসকের দরজায় কড়া নাড়তে নাড়তে কোন সুরাহা হয়নি তার৷ যদিও গোটা বিষয় নিয়ে পঞ্চায়েত সচিব বিরেশ্বর দেবনাথকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন প্রতিক্রিয়া দেবেন না বলে মুখে কুলুপ এঁটেন৷

এদিকে স্থানীয়দের আরো অভিযোগ, বর্তমান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার দলমত নির্বিশেষে গরীব অংশের মানুষদের সরকারি ঘর বন্টন করছে৷ আর তাতে কোন সন্দেহ নেই৷ কিন্তু বরগুল গ্রাম পঞ্চায়েতে স্বজন পোষণ ও দ্বিচারিতা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও নাম কেটে দিয়েছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ, এমনটাই অভিযোগ৷ অভিযোগ, বর্তমানে যে ২৬৪ জন সরকারি ঘর পেয়েছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ জনের পাকা ঘর রয়েছে৷তার মধ্যে জনা পাঁচেকের বিলাসবহুল বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাদের ঘর দিয়েছে পঞ্চায়েত৷ তাহলে প্রকৃত গরীব অংশের মানুষ কেন বঞ্চিত?

স্থানীয়রা বলেন, পঞ্চায়েতে এ বিষয়ে কথা বললে তাদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, তাদের নাকি পাকা ঘর রয়েছে, তাই তাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেওয়া সম্ভব হবেনা৷ অতঃপর স্থানীয়রা নিরুপায় হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন৷ তবে জনা কয়েক নেতা আমলারা নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি, ভাবমূর্তি বদনাম করার অপচেষ্টা করছেন নাতো? প্রশ্ণ নানা মহলে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *