কোচবিহার, ১০ এপ্রিল (হি. স.) : শীতলকুচি কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে নিহত গ্রামবাসীদের স্মরণে কোচবিহার জেলা জুড়ে শহীদ দিবস পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপশি তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। একইসঙ্গে এদিন পাঠানটুলিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত প্রথম ভোটার আনন্দ বর্মনের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন তৃণমূল জেলা সভাপতি।
২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচনে ১০ এপ্রিল ভোট চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জন গ্রামবাসীর। সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মনিরুজ্জামান মিঞা, হামিউল হক, হামিদুল মিঞা ও নুর আলম মিঞাদের মৃত্যু হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতের পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই সিআইডি সেই ঘটনার তদন্ত করছে। ভোটারদের ওপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও চলছে।
সেই ঘটনার বর্ষপূর্তিতে কোচবিহার জেলা জুড়ে শহীদ দিবস পালন করল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। জেলাজুড়ে শহীদ দিবস পালনের পাশাপাশি শীতলকুচির আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে এদিন শহিদ দিবস পালন করে শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটি। এই স্কুলের মাঠে চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাই সেই স্কুলের মাঠেই তৈরি হয়েছে একটি শহিদ বেদি। এই মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া সমালোচনা করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতদের পরিবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার কোনওরকম সাহায্য করেনি বলেই অভিযোগ মৃতদের পরিবারের। এদিন নিহত হামিদুলের স্ত্রী আসিমা বিবি বলেন, ‘আমি দোষীদের শাস্তি চাই।’ মণিরুজ্জামানের বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী এত বড় ক্ষতি করল কিন্তু কোনও ক্ষতিপূরণ দিল না। কেন্দ্র সাহায্য করেনি। রাজ্য যতটুকু দেওয়ার দিয়েছে। আমরা চাই দোষীদের শাস্তি হোক।’