কাজিরঙা (অসম), ১০ এপ্রিল (হি.স.) : কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের নৈসর্গিক মনোরম দৃশ্য উপভোগ করেছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। আজ রবিবার সকালে প্ৰথমে তিনি কাজিরঙার কহঁরায় আসেন। কঁহরা এক শৃঙ্গের গণ্ডার ও হাতি দেখে তিনি চলে যান হাতিখুলি চা বাগানে। চা বাগানে ফ্যাক্টরিতে ঢুকে কাঁচা চা পাতা এবং কী করে চা তৈরি করা হয় সে সব বিষয়ে অবগত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, অসমের চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। এদিন হাতিখুলি চা বাগানে ঝুমুরনৃত্য উপভোগ করেছেন বিড়লা।
লোকসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে ছিলেন বোকাখাতের বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্ৰী অতুল বরা। ঘুরে ঘুরে হাতিখুলি চা বাগান ও ফ্যাক্টরি পরিদৰ্শন করে ওম বিড়লা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, বৈচিত্ৰ্যে ভরপুর অসম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চল। অসমের চা সমগ্ৰ বিশ্বে এক বিশেষ স্থান দখল করেছে। এ জন্য তিনি চা শ্ৰমিকদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, অসমের চা-শ্ৰমিকদের মজুরি প্ৰসঙ্গে বহুবার লোকসভায় চৰ্চা হৈছে। কেন্দ্ৰীয় সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করছে, বলেন ওম বিড়লা। এদিকে হাতিখুলি চা বাগানে ঝুমুর নৃত্য উপভোগ করে আপ্লুত হয়ে পড়েন লোকসভার অধ্যক্ষ।
হাতিখুলি চা বাগান থেকে অধ্যক্ষ বিড়লা চলে যান কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের বাগরি বনাঞ্চলে। সেখানে জিপ সাফারির মাধ্যমে ঘুরে ঘুরে বনাঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেছেন তিনি। বাগরি বনাঞ্চলে গণ্ডার শাবক দেখে অভিভূত হয়ে পড়েছেন ওম বিড়লা।
উদ্যানের দোঙ্গাদৰ্শন চূড়ায় ওঠে প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য উপভোগ করেছেন। কাজিরঙার মনোরম সৌন্দৰ্যে অভিভূত হয়ে ওম বিড়লা বলেন, ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদের পাড়ে অবস্থিত কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের সৌন্দৰ্য অবর্ণনীয়। বিশ্বে নিজের স্থিতি মজবুত করেছে কাজিরঙা। এই উদ্যান দেশ বিদেশের পৰ্যটকদের আকর্ষণ করার ক্ষমতা আছে, বলেন আপ্লুত অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।