আগরতলা, ৩০ মার্চ (হি. স.) : চার বছর পর সাব্রুমে বারুণী স্নান ও বারুণী মেলা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ সমস্যা এবং করোনার প্রকোপে গত চার বছর ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। আজ সাব্রুমে ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে বারুণী স্নান ও মেলাকে ঘিরে ব্যাপক উত্সাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানকে ক্যামেরা বন্দী করে রাখতে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের মধ্যে রীতিমত প্রতিযোগীতা দেখা গেছে। অবশ্য, সারা ত্রিপুরায় বারুণী স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চৈত্র মাসের এই পুণ্য লগ্নে বারুণী স্নানের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষ পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করে থাকেন।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুমের আমলীঘাটে আজ থেকে শুরু হয়েছে বারুণী স্নান ও মেলা। বহুকাল ধরেই আমলীঘাটে এই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কিন্ত, গত চার বছর ওই স্থানে বারুণী স্নান ও মেলা বন্ধ ছিল। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আমলীঘাট এলাকায় মেলাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের তরফ থেকে অভূতপূর্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ, টিএসআর এবং বিএসএফের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে যাতে মানুষজন রাজ্যে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নদীর মাঝ বরাবর সীমানা নির্ধারণ করে দড়ি টাঙানো হয়েছে। ওপারে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীও কড়া নজরদারি রাখছে।
আজ সকাল থেকেই বারুণী স্নানের জন্য প্রচুর ধর্মপ্রাণ মানুষের সমাগম দেখা গেছে।এদিকে, আগরতলা, শান্তিরবাজার সহ ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে ওই বারুণী স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলাকে ঘিরে ব্যবসায়ীদের ভিড় লেগেছে। সাব্রুম বাদে ত্রিপুরার অন্য স্থানে লাগাতর বারুণী স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় শান্তিরবাজার মহকুমায় লাউগাং ও মুহুরী নদীর সঙ্গমস্থলে বারুণী স্নান ও মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগরতলায় হাওড়া নদীতে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

