কলকাতা, ২৯ মার্চ (হি.স.): কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা বনধ/ঘর্মঘটের দ্বিতীয় দিনও মিশ্র প্রভাব পড়ল পশ্চিমবঙ্গে। কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবারও ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল বের হয়। এদিনও বিঘ্নিত হয়েছে ব্যাঙ্ক পরিষেবা। মঙ্গলবার সকালেই বাঘাযতীনে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। ধর্মঘটের প্রথম দিনের মতো এদিনও স্বাভাবিকই ছিল মহানগরী। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে সকালের দিকে গাড়ির সংখ্যা তুলনায় কিছুটা কম থাকলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা বাড়ে। স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করেছে বাস।
ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে জেলাগুলিতে। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের কলোনি মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এদিন সকালে অবরোধ করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুরে ১১৬-র বি জাতীয় সড়কেও অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা। দিঘা যাওয়ার এই রাস্তায় অবরোধের জেরে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির নেতৃত্বে চলে অবরোধ। কোচবিহারে এদিনও বেসরকারি বাস চলেনি। দোকানও কিছু জায়গায় বন্ধ ছিল।
বীরভূম জেলার রামপুরহাটে মঙ্গলবার সকালে মিছিল করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক মিনিট দশেক অবরোধ করা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বাম কর্মীরা। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সবমিলিয়ে মহানগরীতে বনধের কোনও প্রভাব না পড়লেও, মিশ্র প্রভাব দেখা গিয়েছে জেলায়।