শিলিগুড়ি, ২৭ মার্চ (হি.স.) : ‘‘দাদু-নাতির গন্ডগোল হলেও সিবিআই চাই! মা-মেয়ের গন্ডগোল হলে সিবিআই চাই! আর কত নীচে নামবেন?’’ বগটুই-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে এভাবেই বিরোধীদের কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি। আর তাদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে সিপিএম, কংগ্রেস। বিজেপি-সিবিআই একযোগে কাজ করছে বলেই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।
রবিবার শিলিগুড়িতে সরাসরি বিরোধীদের তোপ দাগলেন মমতা। বললেন, ‘‘আমরা সাধ্য মতো চেষ্টা করি। দু’টো ক্লাবে গন্ডগোল হলে আমাকে গালাগালি দেবেন? এলাকায় গন্ডগোল যাতে না হয়, তা দেখতে হবে। মুখে কালি লাগিয়ে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি মিছিল করবে আর তোফা হয়ে সোফায় বসে থাকবে?’’
বগটুই-কাণ্ডে শুরু থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে বিজেপি। এ নিয়েও রবিবার কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, ‘‘এখানে কিছু হলেই সিবিআই চাইছে! উত্তরপ্রদেশের উন্নাও, হাথরসে কটা সিবিআই এসেছে? কী বিচার হয়েছে? উন্নাওয়ে একটি মেয়ে সাক্ষী দিয়ে বেরচ্ছিলেন। তাঁকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে। তিনিও সংখ্যালঘু ঘরের মেয়ে ছিলেন। দিল্লিতে কত লোক মারা গেল! ক’জন বিচার পেয়েছে? অসমে এনআরসি, এনপিআরের সময় কত লোকের মৃত্যু হয়েছে! ক’জন বিচার পেয়েছে? ত্রিপুরায় আমাদের লোক মিটিং করলেই গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। জেলে ভরে দেওয়া হয়। হাথরস-উন্নাওয়ে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর এখানে দেখুন, আমি যাতে যেতে না পারি, তাই সকাল-বিকেল সেজেগুজে চলে যাচ্ছে। আর গিয়ে শুধু টিভির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ছে। এরা কেউ মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। কখনওই বিপদে পাশে পাওয়া যায় না।’’
সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিজেপি-র লাগাতার বিক্ষোভের আবহেই শুক্রবারই কলকাতা হাই কোর্ট হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়ে জানিয়েছে, রাজ্যের গঠন করা সিট আর তদন্ত করবে না। আদালতের রায়কে স্বাগত জানালেও হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খান খুনের পর রামপুরহাটের ঘটনাতেও সিবিআই তদন্ত নিয়ে অনীহা প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। রবিবারও মমতা বলেন, ‘‘সিবিআই যে সব তদন্তই সমাধান করে ফেলে, এমন তো নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চুরি যাওয়া নোবেল পদক কি পাওয়া গিয়েছে?’’

