লখনউ, ২৫ মার্চ (হি.স.): চ্যালেঞ্জ যেমনই হোক, মোকাবিলা করতে কখনও পিছিয়ে থাকেন না তিনি। যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বদা আগ্রহী, আগামী ৫ বছরের জন্য উত্তর প্রদেশ ফের সেই যোগী আদিত্যনাথের হাতেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনমুখী প্রকল্প আর ‘বুলডোজার’ বাবা যোগীর ‘গুন্ডা দমননীতি’ বিজেপি-কে ভোট বৈতরণী পার করিয়েছে তো বটেই, পাশাপাশি গড়েছে নজিরও। বিগত ৩৫ বছরে এই প্রথম পর পর দু’বার উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় এল কোনও রাজনৈতিক দল।
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে বিজেপির জয়লাভের পর সন্ন্যাসী ও রাজনীতিবিদ যোগী আদিত্যনাথকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করে রীতিমতো চমকে দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। হতাশ করেননি দলকে, নিজের কাজে সকলকে খুশিও করেছেন। তাই পুনরায় যোগীর উপরই আস্থা রেখেছে দল। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ৫ বছরের শাসনকালে উত্তর প্রদেশের আইন-শৃঙ্খলায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন যোগী আদিত্যনাথ। বিগত ৫ বছরে উত্তর প্রদেশে একটিও দাঙ্গার মতো ঘটনা ঘটেনি। কোথাও কোনও বিবাদ হলে শক্ত হাতে তা দমন করেছে যোগীর সরকার।
পাঁচবারের লোকসভার সাংসদ যোগী আদিত্যনাথ উত্তরাখণ্ডের একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭২ সালের ৫ জুন। বাবা-মা তাঁর নাম রাখেন অজয় সিং বিশত। রামমন্দির নির্মাণ আন্দোলনে অংশ নিতে বাড়ি ছেড়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ, পরবর্তীকালে গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরের মহন্ত অভিদ্যনাথের শিষ্য হন। ১৯৯৮ সালে যোগীর রাজনৈতিক জীবন শুরু, গোরক্ষপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। একজন সাংসদ নন, যোগী এখন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ‘প্রিয়’ উত্তর প্রদেশের জনগণের কাছে।

