আগরতলা, ১২ মার্চ : বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকবান্ধব মনোভাব নিয়ে কাজ করে আসছে। যার প্রতিফলন রাজ্যের সংবাদ জগতের সাথে জড়িতদের কল্যাণে গৃহীত বিবিধ পদক্ষেপের মাধ্যমেই ফুটে উঠেছে। এই ধারা বজায় রেখে বেশি সংখ্যক সংবাদ কর্মীদের স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনার জন্য আজ তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্য অতিথিশালায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, রাজ্য সরকার সংবাদ মাধ্যম এবং সাংবাদিকদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সদর্থক ভূমিকা নিয়ে কাজ করছে। রাজ্য সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে অচিরেই স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা প্রদানের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। যে সকল সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড রয়েছে তাদেরকেই স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা দেওয়া হবে। তাই স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা যাতে বেশি সংখ্যক সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছানো যায় সেজন্য তিনি সভায় উপস্থিত রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কর্ণধার এবং প্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ জানান।
এক্ষেত্রে তিনি বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড রয়েছে তার সংখ্যা আরও বাড়ানো সম্ভব। দপ্তরের গাইডলাইন মেনে রাজ্যে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত যোগ্য ব্যক্তিদের দ্রুত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তথ্যমন্ত্রী শ্রীচৌধুরী আরও বলেন, স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা যাতে সাংবাদিকরা বেশি পরিমাণে পায় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও যথেষ্ঠ উদার মনোভাব পোষণ করছেন। তিনি সভায় উপস্থিত সকলকে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদানের ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম পাঠানোর উপর বিশেষ জোর দিতে অনুরোধ করেন।
সভায় আগরতলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক প্রণব সরকার বলেন, অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের সঙ্গে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি জড়িত রয়েছে। এইক্ষেত্রে এই কার্ডের যেন অবৈধভাবে ব্যবহার করা না হয় সেই দিক দিয়ে দপ্তরকে সুচারু মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পি কে গোয়েল জানান, অ্যাক্রিডিটেশন পলিসিকে আগামীদিনে সরলীকরণ করার ক্ষেত্রে দপ্তর সকলের প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখবে।আজকের এই সভায় প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, ওয়েব মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় উপস্থিত ছিলেন। এই সভা পরিচালনা করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উপ অধিকর্তা সঞ্জিব চাকমা ও দেবাশিষ নাথ সহ অন্যান্যরা।
—