হাফলং (অসম), ১ মার্চ (হি.স.) : জিএসটি কনসালটেন্সির নামে কোটি কোটি টাকা জালিয়াতি করার অভিযোগে জড়িয়ে পড়েছেন হাফলং শহরের এসডি অ্যাসোসিয়েট নামের এক প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী দেবাশিস সাহা। জিএসটি-র নামে গ্রাহকদের সঙ্গে জালিয়াতি করার অভিযোগ বহু দিন থেকে ছিল দেবাশিস সাহা নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে হাফলং শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এসডি অ্যাসোসিয়েটের অফিসে হানা দেয় হাফলং পুলিশ। একাংশ গ্রাহক প্রতারণার ফাঁদে পড়ে দেবাশিসের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হলে গতকাল রাতে হাফলং থানার ওসি রঞ্জিত শইকিয়া দলবল নিয়ে হানা দেন এসডি অ্যাসোসিয়েটের কার্যালয়ে। সেখানে দেবাশিসকে ম্যারাথন জেরা চালায় হাফলং পুলিশ। খবর পেয়ে প্রতারণার শিকার একাংশ ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী সেখানে উপস্থিত হয়ে দেবাশিস সাহার সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হন। এক সময় তাঁরা দেবাশিস সাহার প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে পরিবেশ উত্তপ্ত করে তুলেন।
অভিযোগ দেবাশিস সাহা ট্যাক্স রিটার্নের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিলেও সেই টাকা সরকারের খাতায় জমা পড়েনি। হাফলং শহরের জনৈক ঠিকাদারের কাছ থেকে ট্যাক্স রিটার্নের নামে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে সেই টাকা সরকারের খাতায় জমা করেননি দেবাশিস সাহা। এদিকে জিএসটি রিটার্নের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে তিনি কোনও টাকা নেন না বলে পুলিশের জেরায় দাবি করেছেন দেবাশিস। কিন্তু কারো যদি জিএসটি দুই লক্ষ টাকা হয়, তা-হলে তিনি এক লক্ষ টাকা নিয়ে তা রফা করে দেন বলে স্বীকার করেন।
এভাবেই জিএসটির নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে এ সব গ্রাহকের নামে কোনও ফাইল তৈরি না করে সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন দেবাশিস সাহা। এদিকে দেবাশিস সাহা জিএসটি কনসালটেন্সি খুলে বসার কোনও বৈধ নথিপত্র পুলিশকে দেখাতে সক্ষম হননি। কোনও ধরনের সরকারি অনুমতি ছাড়াই দেবাশিস সাহা হাফলং শহরের বুকে জিএসটির নামে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
অভিযোগ, এ ধরনের জালিয়াতি করে দেবাশিস সাহা নামের ব্যক্তি নিজের নামে পাহাড়-প্রমাণ সম্পত্তি গড়েছেন। বর্তমানে হাফলং পুলিশ দেবাশিস সাহাকে আটকে রেখে থানায় জেরা অব্যাহত রেখেছে বলে রঞ্জিত শইকিয়া জানিয়েছেন।