BRAKING NEWS

Bangladesh Film Festival : কাল থেকে শুরু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উত্সব, দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান যত বাড়বে মানুষে মানুষে নৈকট্য আরও বাড়বে : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ড. হাছান

আগরতলা, ২২ ফেব্রুয়ারি : দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান যত বাড়বে মানুষে মানুষে নৈকট্য আরও বাড়বে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় চলচ্চিত্র উত্সবে অংশ নেওয়ার জন্য ত্রিপুরায় পা রেখেই দৃঢ় প্রত্যয়ের সুরে একথা বলেন সেদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। তাঁর দাবি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের সম্পর্ককে নেতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। বহুমাত্রিকতা আরও বিস্তৃত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা ও অসমে চলচ্চিত্র উত্সবে অংশ নিতে ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। তিনি ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করেছেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত আটটায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর জন্ম শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে সহকারী হাই কমিশনার আগরতলা এবং গুয়াহাটির সহযোগিতায় ওই চলচ্চিত্র উত্সব উদযাপিত হবে। এই চলচ্চিত্র উত্সবে বাংলাদেশের সাংসদ এবং অভিনেত্রী-অভিনেতারাও এসেছেন। আগরতলায় ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং গুয়াহাটিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই চলচ্চিত্র উত্সবের সূচনা হবে।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে ত্রিপুরা ও অসমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উত্সবের সূচী নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্ত, দুর্গোত্সবে বাংলাদেশে পূজা মন্ডপ এবং হিন্দুদের উপর হামলায় ঘটনায় ত্রিপুরায় প্রভাব পড়েছিল। তাই, ওই সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উত্সব স্থগিত রাখা হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও চলচ্চিত্র উত্সবের আয়োজন করা হচ্ছে।

আগরতলায় ২৩-২৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উত্সব উদযাপিত হবে। অন্যদিকে, গুয়াহাটিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত প্রথম চলচ্চিত্র উত্সব উদযাপিত হবে। ওই চলচ্চিত্র উত্সবে অংশ নিতে বাংলাদেশের অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস, দিলারা হানিফ পূর্ণিমা, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ এবং সঙ্গীত শিল্পী মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চৌধুরী ত্রিপুরায় এসেছেন।

এদিন বাংলাদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, আগামীকাল আগরতলায় এবং পরশু গুয়াহাটিতে চলচ্চিত্র উত্সবে অংশ নেওয়ার আজ ভারতে এসেছি। স্বাভাবিকভাবেই, ত্রিপুরা ও অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক হবে। তাঁদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তাঁর কথায়, ত্রিপুরা এবং অসম বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী রাজ্য। দুই রাজ্যের সাথেই আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। তাতে, বহুমাত্রিকতা আরও বিস্তৃত হয়েছে।

তিনি এদিন দৃঢ় প্রত্যয়ের সুরে বলেন, দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান যত বাড়বে মানুষে মানুষে নৈকট্য আরও বাড়বে। সে কারণেই এই উত্সবের আয়োজন করা হয়েছে। তাঁর দাবি, দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত চমত্কার সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক সবসময় গভীর ছিল। আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীরে প্রোথিত হয়েছে, নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *