BRAKING NEWS

Suspended : ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত সৌম্যদীপ, টিটিএফআইয়ের কার্যকরী সমিতি ছ’মাস সাসপেন্ড

নয়াদিল্লি, ১১ ফেব্রুয়ারি (হি. স.): নজিরবিহীন ঘটনা ভারতীয় টেবল টেনিসে। গড়াপেটার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন অভিযুক্ত হলেন বাঙালি কোচ সৌম্যদীপ রায় । শুক্রবার দিল্লির উচ্চ আদালতের রায়ে সৌম্যদীপ দোষী সাবস্ত হয়েছেন। টোকিও অলিম্পিকে খেলা প্যাডলার মনিকা বাত্রার গড়াপেটার অভিযোগ জানালেও তা কেন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়নি, এই অভিযোগও উঠছে টিটিএফআইয়ের বিরুদ্ধে। আর তাই ফেডারেশনের কার্যকরী সমিতিকে ছ’মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। আদালত দ্রুত অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিযুক্ত করবে।

অলিম্পিকের সময় জাতীয় কোচ সৌম্যদীপের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছিলেন মনিকা। নিজস্ব কোচ সন্ময় পরাঞ্জপে হাজির থাকা সত্ত্বেও তাঁকে কোচিং করানোর সুযোগ দেননি সৌম্যদীপ, এমনই অভিযোগ ছিল। অলিম্পিকের পরই মনিকাকেও শোকজ করে টিটিএফআই। তার পরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুম্বইয়ের টিটি প্লেয়ার। আসলে মার্চ মাসে দোহায় অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন পর্বের সময় সুতীর্থাকে ম্যাচ ছাড়তে বলেছিলেন সৌম্যদীপ। প্রথমে রাজি হননি মনিকা। কিন্তু তাঁকে শেষ পর্যন্ত বুঝিয়েসুঝিয়ে রাজি করান বাঙালি কোচ। মনিকাকে বলেছিলেন, তিনি ম্যাচ হারলে আর এক ভারতীয় টিটি প্লেয়ার অলিম্পিকে যেতে পারবেন। সুতীর্থাকে এই সুযোগটা করে দেওয়া উচিত। মনিকা হেরেছিলেন ম্যাচটা। যা জিতে অলিম্পিকের টিকিট পেয়েছিলেন সুতীর্থা।

টোকিও গেমসের সময় অবশ্য মনিকা তাঁর কোচ সন্ময়কেই পাশে চেয়েছিলেন। কিন্তু সৌম্যদীপ স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, তিনিই জাতীয় টিমের কোচ। তাঁরই পরামর্শ নিতে হবে। সৌম্যদীপের কথা শোনেননি মনিকা। তখন থেকেই সৌম্যদীপের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় মনিকার। দেশে ফিরে আসার পর টিটিএফআই আবার শো কজ করেছিল মনিকাকে। অলিম্পিক চলাকালীন জাতীয় কোচের নির্দেশ অমান্য কেন করেছিলেন, তাও জানতে চাওয়া হয়। জবাবে মনিকা গড়াপেটার অভিযোগ করলেও তা গুরুত্ব দেয়নি। উল্টে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আগে তাঁকে টিম থেকে বাদও দেওয়া হয়। দিল্লির উচ্চ আদালতে মামলা করেছিলেন মনিকা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই একটা কমিটি গঠন করেছিল আদালত। তিন সদস্যের ওই কমিটি পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখার পর রিপোর্ট দিয়েছিল। তারই ভিত্তিতে সৌম্যদীপ ও টিটএফআই— উভয় পক্ষই রীতিমত চাপে। সৌম্যদীপকেও সাসপেন্ড করা হবে কিনা, সেটাই এখন দেখার।

সব দিক থেকে দেখলে ভারতীয় খেলাধুলোয় এটা নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে কখনও কোনও প্লেয়ার কোনও কোচের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনেননি। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বভারতীয় সংস্থার কার্যকরী সমিতিকে সাসপেন্ড করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *