BRAKING NEWS

UP Election : উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনে শেষ, পড়ল প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট

লখনউ, ১০ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : বৃহস্পতিবার শান্তিতেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে। এদিন ভোটারদের মধ্যেও ছিল যথেষ্ট উচ্ছ্বাস। বেলা এগারোটা অবধি ভোটের হার ছিল ২০.০৩ শতাংশ, দুপুর একটায় ভোটের হার পৌঁছেছে ৩৫.০৩ শতাংশে। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা থেকে পশ্চিমাঞ্চলীয় উত্তর প্রদেশের ১১টি জেলার ৫৮টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত। প্রথম দফায় উত্তর প্রদেশের যে জেলাগুলিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে সেই জেলা গুলি হল-শামলি, হাপুর, গৌতম বুদ্ধ নগর, মুজফ্ফরনগর, মেরঠ, বাঘপত, গাজিয়াবাদ, বুলন্দশহর, আলিগড়, মথুরা ও আগ্রা। ২০১৭ সালের নির্বাচনে এই ৫৮টি আসনের মধ্যে ৫৩টি আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের মোট ভোট পড়েছে ৫৯.৮৭ শতাংশ। সর্বাধিক ভোট হয়েছে শামলিতে ৬৬.১৪ শতাংশ, তারপরে মুজাফফরনগর এবং মথুরায় যথাক্রমে ৬৫.৩২ শতাংশ ৬২.৯০ শতাংশ। গৌতম বুদ্ধ নগরে সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত মাত্র ৫৪.৩৮ শতাংশ ভোটারের খবর পাওয়া গেছে। গৌতম বুদ্ধ নগর ব্যতীত সবচেয়ে কম রিপোর্ট করা ভোটার উপস্থিত জেলাগুলি হল গাজিয়াবাদ, মিরাট, আগ্রা যথাক্রমে ৫২.৪৩ শতাংশ, ৬০ শতাংশ এবং ৬০.২৩ শতাংশ৷
প্রথম দফায় হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীকান্ত শর্মা, সুরেশ রাণা, সন্দীপ সিং, কপিল দেব আগরওয়াল, অতুল গর্গ এবং চৌধুরী লক্ষ্মী নারাইন। নয়ডা বিধানসভা আসনে সমাজবাদী পার্টির সুনীল চৌধুরী প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ছেলে পঙ্কজ সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নামেন। মোট ৬২৩ জন প্রার্থী এদিন ভাগ্যপরীক্ষা হয়, তাঁদের মধ্যে ৭৩ জন মহিলা। মোট ভোটারের সঙ্গে ২.২৮ কোটি, তাঁদের মধ্যে ১.২৪ কোটি ভোটার পুরুষ ও ১.০৪ কোটি ভোটার হলেন মহিলা।

২০১৭ সালের নির্বাচনে এই ৫৮টি আসনের মধ্যে ৫৩টি আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি দু’টি করে আসনে জিতেছিল। আরএলডি জিতেছিল একটি আসনে। হাপুর হোক অথবা আলিগড় সকাল সকাল ১১টি জেলার বিভিন্ন বুথে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন সকালে মথুরার গোবর্ধন মন্দিরে পূজার্চনা করেছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী ও বিজেপি প্রার্থী শ্রীকান্ত শর্মা। মথুরা বিধানসভা আসনের প্রার্থী তিনি। শ্রীকান্ত শর্মা বলেছেন, “এই নির্বাচন সাধারণ নির্বাচন নয়, রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত। বিগত ৫ বছরে সমৃদ্ধ উত্তর প্রদেশের ভীত স্থাপন করেছি আমরা।” সার্ধনার বিজেপি প্রার্থী সঙ্গীত সোম বলেছেন, “আমরা উন্নয়নের এজেন্ডা নিয়ে লড়াই করছি, কারণ আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্র নিয়ে কাজ করছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *