আগরতলা, ৮ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : আইপিএফটি-র বিধায়ক বৃষকেতু দেব্বর্মার বিধায়ক খারিজের সিদ্ধান্ত চলতি মাসেই নেওয়া হবে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁকে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে সশরীরে হাজিরা দিয়ে বক্তব্য পেশ করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ওইদিন তিনি অনুপস্থিত থাকলে তাঁকে নতুন করে সুযোগ দেওয়া হবে না এবং তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের সিদ্ধান্ত নেবে ত্রিপুরা বিধানসভা। আজ একথা সাফ জানিয়েছেন ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী। সাথে তিনি যোগ করেন, বিজেপি বিধায়ক দীবা চন্দ্র রাঙ্খল এবং বিধায়ক বুর্বু মোহন ত্রিপুরা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, এমন খবর তিনি জানেন না। তবে, অন্য দলে যোগ দিলে দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবে ত্রিপুরা বিধানসভা।
আজ অধ্যক্ষ রতন চক্রবতী বলেন, বিধায়ক আশীষ দাসের সাথে বিধায়ক বৃষকেতু দেব্বর্মার তফাৎ রয়েছে। বিধায়ক আশীষ দাসকে দলত্যাগ বিরোধী আইনে একাধিকবার নোটিশ পাঠিয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভা। কিন্ত, তিনি নোটিশের জবাব দেননি, এমনকি বিধানসভায় এসে নিজের বক্তব্যও রাখেননি। তাই, তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়েছে। অথচ, বৃষকেতু দেব্বর্মা নিয়ম মেনে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। ফলে, তাঁর বিধায়ক পদ খারিজে কিছুটা সময় লাগছে।
অধ্যক্ষের কথায়, বিধায়ক বৃষকেতু দেব্বর্মা প্রথমে লোক মারফত পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে ছিলেন। এক্ষেত্রে তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়াই গলদ ছিল। পরবর্তী সময়ে তিনি সশরীরে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। কিন্ত, তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি আসেননি। অধ্যক্ষ বলেন, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পুণরায় বিধায়ক বৃষকেতু দেব্বর্মাকে হাজিরা দিয়ে বক্তব্য পেশ করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ওইদিনও তিনি অনুপস্থিত থাকলে তাঁকে নতুন করে সুযোগ দেওয়া হবে না। তাঁর বিধায়ক খারিজের যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তিনি বলেন, চলতি মাসেই বৃষকেতু দেব্বর্মার বিধায়ক পদ খারিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
2022-02-08

