Sushant Chowdhury : বিভিন্ন দপ্তরের অসম্পূর্ণ কাজ দ্রত সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ ডিসেম্বর৷৷ চলতি শুখা মরশুম শেষ হওয়ার আগেই বিভিন্ন রাস্তা ও নালাগুলির প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষ করার জন্য পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের মন্ত্রী সুুশান্ত চৌধুরী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন৷ তিনি আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সাধারণ সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কাজের পর্যালোচনা করে বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই যাতে রাস্তাঘাট বেহাল হয়ে না পড়ে সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে৷ এই ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ এখনই শেষ করতে হবে৷ বিদ্যৎ বিভাগের আধিকারিককে জেলার প্রতিটি জলের পাম্প হাউসে বিদ্যৎ সংযোগ এবং ট্রান্সফরমার বসানোর দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, সময়মতো এই কাজ সম্পন্ন না হলে শুখা মরশুমে জনসাধারণকে সমস্যার মুখে পড়তে হয়৷ তাই এই কাজটি দ্রত শেষ করতে হবে৷ তিনি বিভিন্ন দপ্তরের অসম্পর্ণ কাজগুলি দ্রত সম্পন্ন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, জল জীবন মিশনে জেলার প্রতিটি বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয়জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ এই কাজ যেন অত্যন্ত দ্রতগতিতে সম্পন্ন হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের নজর রাখতে হবে৷ তথ্য ও সংস্ক’তি দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে অযথা ভয় না পাওয়ার জন্য সবাইকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছি৷ সবার সহযোগিতায় এই প্রজাতিকেও আমরা মোকাবিলা করতে পারবো৷ এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে সমস্ত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেগুলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে৷ তিনি এইচআইভি নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আরও বেশি করে করার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন৷


তথ্য ও সংস্ক’তি মন্ত্রী সুুশান্ত চৌধুরীর উপস্থিতিতে আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার (দেব)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক দিলীপ দাস, সহকারি সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য, জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন প’ায়েত সমিতির চেয়ারম্যানগণ, বিডিওগণ, জিলা পরিষদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভাপতিগণ এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের আধিকারিকগণ৷ সভায় পশ্চিম জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়৷
সভায় ক’ষি ও ক’ষক কল্যাণ দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, এবছর জেলার ৮৬৪ জন ক’ষকের কাছ থেকে ১২২৬.৮৬৯ মেট্রিকটন বোরো ধান ক্রয় করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ এছাড়া আমন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ ২,১০০ মেট্রিকটন৷


ক’ষি দপ্তরের প্রতিনিধি সভায় আরও জানান, রবি ফসল উৎপাদনের মরশুমে জেলার ক’ষকদের মধ্যে ৬৪.৫৬০ মেট্রিকটন ধান বীজ, ২২.৫০০ মেট্রিকটন উচ্চফলনশীল ধানবীজ, ২৩.০১৫ মেট্রিকটন সরিষা বীজ, ১৪.০০০ মেট্রিকটন ভু-া বীজ, ১০.৩৮০ মেট্রিকটন বরবটি বীজ, ১০.০০০ মেট্রিকটন গোলমরিচ বীজ, ১০.৫৫২ মেট্রিকটন বাদাম বীজ এবং ১.০০০ মেট্রিকটন বাজরা বীজ বিতরণ করা হয়েছে৷ এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি প্রকল্পে এখন পর্যন্ত জেলার ১৯,০৮৩ জন ক’ষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে৷