কলকাতা, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : ২০১৫ সালের মতো রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাওড়া পুরসভা ৬৬টি ওয়ার্ডে ভোট করাতে পারে।’ সোমবার টুইট করে কমিশনের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
সোমবার বিকেলে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাতে পুরসভার আগামী ভোট নিয়ে ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা। এদিকে, হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করার বিলে রাজ্যপাল এখনও সই করেননি। সেটি এখনও তাঁর ‘বিবেচনাধীন’। তাই আলাদা নয়, হাওড়া এবং বালি মিলিয়ে মোট ৬৬টি ওয়ার্ডেই ভোট করাতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
টুইটে তিনি লেখেন, ‘হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল এখনও রাজ্যপালের বিবেচনাধীন। সরকারের কাছ থেকে কিছু তথ্য পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। হাওড়া থেকে বালি পুরসভা আলাদা করার জন্য কোনও আলাদা প্রস্তাব রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়নি। তাই ২০১৫ সালের মতো রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাওড়া পুরসভা ৬৬টি ওয়ার্ডে ভোট করাতে পারে।’
প্রসঙ্গত, হাওড়া পুরসভার অন্তর্ভুক্ত ওয়ার্ডের সংখ্যা ৫০ এবং বালির ১৬। অর্থাৎ, দু’টি মিলিয়ে ৬৬টি ওয়ার্ড। যে সংখ্যা উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল।
এত দিন হাওড়া পুরসভার অধীনই ছিল বালির এলাকা। গত নভেম্বর মাসে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে হাওড়া ও বালি পুরসভাকে আলাদা করা বিল পাশ হয়। কিন্তু রাজ্যপাল ওই বিলে সই না করার ফলে দুই কলকাতা ও হাওড়ায় একসঙ্গে পুরভোট করানো যায়নি। কিছুদিন আগে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের হাই কোর্টে পেশ করা বক্তব্য এবং রাজ্যপালের টুইটে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। ওই বিষয়ে প্রকাশিত খবর খারিজ করে টুইটারে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, তিনি হাওড়া এবং বালি পুরসভাকে আলাদা করার বিলে সই করেননি। সোমবার তাঁর নয়া টুইটে হাওড়া এবং বালি আলাদা না-করে একসঙ্গে ভোট করার কথা বললেন রাজ্যপাল ধনকর।
রাজ্যপাল ২০১৫ সালে হাওড়া পুরসভার ৬৬ টি ওয়ার্ডে ভোট হওয়ার কথা উল্লেখ করলেও, ওই বছর বালির অন্তর্গত ১৬টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়। হাওড়া পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয় ২০১৩ সালে।
প্রসঙ্গত, মনে করা হচ্ছে, ওই সাংবাদিক বৈঠক হাও়ড়া এবং বালির ভোট সংক্রান্ত বিষয়েই ডাকা হয়েছে। রাজ্যপালের সকালের বক্তব্যের পর ওই বিষয়ে কমিশন কী বলে সেটাই দেখার।

