কলকাতা, ২২ ডিসেম্বর (হি. স.) : গত বিধানসভা ভোটে যা হয়েছিল, পুরভোটের ফল তারই পরিবর্ধন। এখনই সতর্ক না হলে লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে বিজেপি-র কোনও আসন না পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এই মন্তব্য বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়ের।
পুরভোটের ফল কেন এরকম হল, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তথাগতবাবু বলেন, “নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর যে বিশ্লেষণ করে ভুলত্রুটি শোধরানোর চেষ্টা করা উচিত ছিল, তা হয়নি। সেই আন্তরিক চেষ্টা অবিলম্বে না হলে ফল আরও খারাপ হবে।“ সেক্ষেত্রে আগামী লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র কোনও আসন না পাওয়ার আশঙ্কার কথাও বলেন তথাগতবাবু।
বুধবার তিনি টুইটারে লেখেন, “একটা দল ভেঙে পড়েও আবার উঠে দাঁড়াতে পারে যদি তার ইচ্ছা থাকে। তার জন্য হারের বিশ্লেষণ করতে হয়, কোর্স কারেকশন করতে হয়। সিপিএম ঠিক এইভাবেই ২০০১ সালে জ্যোতিবাবুকে খারিজ করে সাফল্য পেয়েছিল। এই পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রচুর কারচুপি করেছে, কিন্তু শুধু তা দেখলেই হবে না। অনেক ভাল হতে পারত। কিন্তু তার বদলে হয়েছে ‘তিন থেকে সাতাত্তর’, তৃণমূলের শয়তানির উপর সব দোষ চাপানো, এবং সবশেষে এক গর্দভসুলভ ‘সৌজন্য’।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, “নাসতো বিদ্যতে ভাবঃ নাভাবো বিদ্যতে সতঃ” (ভগবদ্গীতা ২:১৬)। তৃণমূলের মত কাটমানি-সিন্ডিকেট-দুর্নীতিতে নিমজ্জিত অসৎ দল কখনো টিকতে পারে না। শুধু তার জায়গা নেবার কেউ নেই বলেই এখনো তারা দাপিয়ে যাচ্ছে।হিন্দু বাঙালির কি যে হবে !” এদিক থেকে সংযত বিজেপি-র আর এক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। পুরভোটের ফলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, “কোনও মন্তব্য করব না। যাঁরা দল চালাচ্ছেন তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন। ওঁদের সঙ্গে আমার মত না-ও মিলতে পারে।“

