নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ ডিসেম্বর।। দুষ্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত দুই যুবক, একজনকে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আগরতলা জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রামবাসীরা এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন। শনিছড়া বাজার থেকে জৈথাঙ এডিসি ভেলিজের টঙ ছড়ায় বসবাসকারী কিরেন্দ্র রিয়াঙ( বয়স 22 বছর) পিতা-মৃত রিয়াদ রিয়াঙ, মাতা সাবিত্রী, তার ছোট ভাই ফিলিপ রিয়াং( 17 বছর), সুভাষ রিয়াঙ( 18 বছর) রুপেন রিয়াঙ( 16 বছর) কে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পুষ্প পাড়া এলাকার মুখে, কালো কাপড় মুখে বেঁধে হাতে দা এবং রড নিয়ে দুষ্কৃতীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। সুভাষ এবং রুপেন কোনক্রমে দুষ্কৃতিদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে পালিয়ে গ্রামে যায়। গ্রাম থেকে গ্রামবাসীরা তাদের সাথে দৌঁড়ে আসলে দুষ্কৃতিরা কিরেন্দ্র এবং ফিলিপকে প্রচন্ডভাবে মেরে ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা ।
কিরেন্দ্রের দুটি এটিএম কার্ড, একটা এন্ড্রয়েড মোবাইল, হাতের ঘড়ি, সোনার চেইন এবং ব্যাংক থেকে যে টাকা তুলেছে সব নিয়ে পালিয়ে যায়। কত টাকা এটিএম থেকে তোলা হয়েছিল তা কেউ বলতে পারছে না। উল্লেখ্য কিরেন্দ্র পরিবারের স্বার্থে রোজগারের জন্য ব্যাঙ্গালোরে থাকে। বর্তমানে কয়েক দিন হয়েছে সে বাড়িতে এসেছে। বাড়িতে একটি নতুন দালানবাড়ি বানাচ্ছে। এই দালান বাড়ি বানানোর জন্য শনিছড়া এটিএম-এ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাকা তুলতে গিয়ে ছিল। গ্রামবাসীরা কিরেন্দ্র এবং ফিলিপকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে উদ্ধার করেন শনি ছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা খারাপ দেখে ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানেই ফিলিপ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। কিরেন্দ্র এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে আগরতলা জিবি হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে। তাদেরকে দেখতে শুক্রবার সকালে ধর্মনগর এর উত্তর জেলা হাসপাতাল ভিড় জমে যায়। এলাকাবাসীরা জানায় কিরেন্দ্র ভালো ছেলে। উল্লেখ্য রাত দুটোয় চুড়াইবাড়ি থানায় একটা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কালো কাপড়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় থাকলেও দুষ্কৃতীদের একজনকে তারা চিনে ফেলেছে। তার নাম আব্দুল মতিন ,পিতা বুটু মিয়া ,বাড়ি দক্ষিণ শনিছড়া এক নম্বর ওয়ার্ডে । রাজ্যে এডিসি নির্বাচনের পর তিপরামুথা স্বশাসিত জেলা পরিষদ দখল করার পর পাহাড়ে চূড়ান্ত দুর্নীতি চলছে। কাজ নেই ,খাদ্যের অভাবে লোক দুর্বৃত্তপনা অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছে।

