কলকাতা, ১৫ ডিসেম্বর (হি. স.) ; বাংলার মুকুটে নতুন পালক। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল এ রাজ্যের দুর্গাপুজো। ইউনেস্কোর ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ তালিকায় জুড়ে গেল দুর্গাপুজোর নাম।ধর্ম এবং শিল্পের মেলবন্ধনের জন্যেই সংস্কৃতিতে হেরিটেজ তকমা, বাধা দূর করে সবাই মিলিত হয় এই উৎসবে, দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়ে জানাল ইউনেস্কো। এদিন এক বার্তায় দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবেল কালচার হেরিটেজ তথা অনুনভবনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেওয়ার কথা জানানো হয়।
দুর্গাপুজো বাংলার ঐতিহ্য। ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে সার্বিক উৎসবের চেহারা নিয়েছে এই পুজো। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মেতে ওঠে উৎসবে। বর্তমানে বঙ্গ সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে দুর্গাপুজো। এবার আন্তর্জাতিক সম্মান ছিনিয়ে নিল সেই উৎসব। বুধবার ইউনেস্কোর তরফে টুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে। বহুদিন আগে এই আবেদন জানিয়ে রেখেছিল রাজ্য সরকার। সেই আবেদনকেই এবার স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো। ‘মেয়ের ঘরে ফেরার’ উৎসব হিসেবেই ধুমধাম করে যা অনুষ্ঠিত হয়। মহালয়া থেকে পুজো শুরুর পর দশমীর দিনে মেয়েকে বিদায় জানানো হয় প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে। নতুন জামা, সাজপোশাক, খাওয়া-দাওয়া, সব মিলিয়ে ধর্ম ও শিল্পের এক অদ্ভূত মেলবন্ধন গড়ে ওঠে। পুজোর উৎসব ক্রমশ স্থান পেয়েছে অনুভূতির অঙ্গ হিসেবে। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে যেখানে মেতে ওঠেন সেখানে। উৎসবের আলোকচ্ছটায় ধুয়ে-মুছে যায় যাবতীয় ভেদাভেদ। বঙ্গ সংস্কৃতির অনন্য অঙ্গ এই উৎসব।