প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর আগমণের প্রাক্কালে শুক্রবার দেহরাদূনের প্যারেড গ্রাউন্ড নিরীক্ষণ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
শনিবারই উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেহরাদূনে গিয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি-দেহরাদূন ইকোনোমিক করিডরও। এই করিডর দূরত্ব কমাবে দিল্লি ও দেহরাদূনের মধ্যে। ৮,৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হবে দিল্লি-দেহরাদূন অর্থনৈতিক করিডর। দিল্লি-দেহরাদূন অর্থনৈতিক করিডর তৈরি হয়ে গেলে দিল্লি ও দেহরাদূনের মধ্যে ভ্রমণের সময় অনেকটাই কমবে। এখন দিল্লি থেকে দেহরাদূনে যেতে সময় লাগে ৬ ঘন্টা, দিল্লি-দেহরাদূন অর্থনৈতিক করিডর চালু হয়ে গেলে ৬ ঘন্টার পরিবর্তে সময় লাগবে মাত্র আড়াই ঘন্টা। এই করিডরে হরিদ্বার, মুজফ্ফরনগর, শামলি, যমুনানগর, বাঘপত, মেরঠ এবং বারাউতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ৭টি প্রধান ইন্টারচেঞ্জ থাকবে।
এই করিডর তৈরি হলে দুই শহরের পর্যটকরা সুষ্ঠুভাবে ও দ্রুত যাতায়াত করতে পারবেন। মূলত ওই রুটে দিল্লি থেকে দেহরাদূনের মধ্যে যে অভয়ারণ্যগুলি রয়েছে, সেখানে সফর করতে পারবেন পর্যটকরা। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ রক্ষারও উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। এক্সপ্রেসওয়েতে যাতে কোনও পশু গাড়ি দুর্ঘটনায় না পড়ে, সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মূল এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি পর্যটনস্থল যুক্ত করার জন্য রাস্তা তৈরি হবে।