BRAKING NEWS

বুধবার মুখোমুখি মোদী-মমতা, উঠতে পারে ত্রিপুরার সন্ত্রাস, বিএসএফ নিয়ে সংঘাত

নয়াদিল্লি, ২৩ নভেম্বর (হি. স.) : দিল্লি সফরে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিন ভর ঠাসা কর্মসূচির পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখোমুখি হতে চলেছেন মমতা।

বিধানসভা ভোটে বিপুল জনাদেশ নিয়ে বিজেপির সরকার গঠনের স্বপ্নকে চুরমার করে তৃতীয় বারের জন্য বাংলার শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। তারপর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখোমুখি হতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।গত সপ্তাহেই উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা জানিয়েছিলেন, তিনি দিল্লি যাবেন এবং সেখানে গিয়ে রাজ্যের বকেয়া টাকা তিনি চাইবেন। অভিযোগের সুরে মমতা বলেছিলেন, “আমাদের রাজ্যে পরপর কয়েকটি ঘূর্ণঝড় হয়েছে এবং তাতে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমফান, ইয়াস কোনও কিছুরই টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লি গিয়ে আরও একবার বলে দেখব।”

তখন থেকেই বোঝা গিয়েছিল মমতার দিল্লি সফরে কেন্দ্রের থেকে বকেয়া টাকা প্রাধান্য পাবে। কারণ এই মূহুর্তে রাজ্যের কাঁধে আর্থির বোঝা বিপুল। তারমধ্যে নতুন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে রেশনের মত প্রকল্প চালু হওয়ায় অর্থের সমস্যা বাড়বে। সেই ক্ষেত্রে কেন্দ্রের থেকে বকেয়া টাকা আদায় করা গেলে সুবিধা হবে। দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গের কথা তোলেন মমতা। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার বাড়িয়েছে কেন্দ্র। এই এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়েই তল্লাশি ও প্রয়োজনে সন্দেহভাজনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার ক্ষমতাও বিএসএফকে দেওয়া হয়েছিল। মমতা ও তাঁর সরকার এই সিদ্ধান্তের বিরোধী। ইতিমধ্যেই বিধানসভায় এই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল। মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বিএসএফ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাতে পারেন মমতা। দিল্লি রওনা দেওয়ার আগেই মমতা জানিয়েই দিয়েছলেন, বিএসএফ ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ এই প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন।

আরও একটি বিষয়ের কথা মোদী-মমতা বৈঠকে উঠে আসতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ত্রিপুরা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপান উতর তুঙ্গে। গত রবিবারই সায়নী ঘোষকে পূর্ব আগরতলা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় থানার ওপর চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতি। অভিযোগ, তৃণমূলকর্মীদের মারধর করা হয়। এই ঘটনায় বিজেপিকে দায়ী করেছিল তৃণমূল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে গিয়েও স্মারকলিপি জমা দেন তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, ত্রিপরাতেই আইনের শাসন ভেঙে পড়ছে এবং ত্রিপুরা জুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাসে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মোদীর সঙ্গে বৈঠকে ত্রিপুরাতে হওয়া সন্ত্রাস নিয়েও অভিযোগ জানাতে পারেন মমতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *