কলকাতা, ২৩ নভেম্বর (হি. স.) :“বাংলায় বেইমানের সংখ্যা বাড়ছে।“ মঙ্গলবার কলকাতা পোর্ট ডিসি অফিসের সামনে চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঞ্চে মাইক হাতে তিনি এই মন্তব্য করেন। এই সঙ্গে বলেন, “সিপিএম সর্বহারা নয়, সর্বহারা কে জানেন? বাবুল সুপ্রিয়…’। বাবুলবাবুকে নিয়ে দিলীপবাবু দ্বৈরথের অধ্যায়ে এক নয়া পর্বের সূচনা করলেন ।
দিলীপবাবু এ দিন শাসকদলের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন, যদিও পুরোটাই কৌতুকের ছলেই। তৃণমূলের ত্রিপুরা-অভিযান নিয়েও একের পর এক বাণ ছুড়েছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই আসে বাবুল সুপ্রিয়র নাম। দিলীপবাবু বলেন, ”বাংলায় বেইমানের সংখ্যা বাড়ছে। অটল বিহারী বাজপেয়ীজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভরসা করেছিলেন, তিনি বেইমানি করেছেন। নরেন্দ্র মোদী বাবুল সুপ্রিয়র ওপর ভরসা করেছিলেন, তিনিও বেইমানিই করলেন। আজকে কোথায় দাঁড়িয়ে বাবুল সুপ্রিয়? ওঁর গাওয়া গান আজকে ওঁকেই শুনতে হচ্ছে ত্রিপুরাতে!”
দিলীপবাবুর সংযোজন, “লোকেই বলছেন, এই বাবুল আর নয়! আমি এক বন্ধুকে বলছিলাম, আপনারা ভাষণ দেন সিপিএম সর্বহারা, সর্বহারা! দেখেছেন কে সর্বহারা? বাবুল সু্প্রিয় সর্বহারা। আমরা ওঁকে মাথায় করে রেখেছিলাম। যা চেয়েছিলেন, তাই দিয়েছিলাম। কিন্তু কী করলেন…”এখন বাবুল তৃণমূলে গিয়েছেন, চোরেদের দলে গিয়েছেন।”বাবুল-দিলীপ টানাপোড়েন রাজনৈতিক মহলে চর্চিত। এর আগেও একাধিকবার বাবুলকে বিঁধেছেন দিলীপবাবু। বাবুল যখন বিজেপিতে ছিলেন, তখন থেকেই তাঁদের শীতল লড়াই বঙ্গ রাজনীতিতে সবার জানে। কিন্তু দিলীপবাবুর কোনও কথাতেই এখন আর বিশেষ আমল দিতে চান না বাবুল। দিলীপবাবু প্রসঙ্গে স্পষ্ট জানালেন, “উনি সকালে যেটা বলেন, সেটা সারা দিন মানুষ এনজয় করেন। ওঁকে ওঁর মত বলতে দিন। ওর কথায় কোনও কিছু এসে যায় না।”