নয়াদিল্লি, ১৮ নভেম্বর (হি.স.): যমুনা নদীর পরিচ্ছন্নতা ও স্বচ্ছতার উপর এবার জোর দিতে চলেছে দিল্লি সরকার। ৬টি কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরিওয়ালের বিশ্বাস, এই ৬টি কর্ম পরিকল্পনা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন হল, কী এই পরিকল্পনা? কেজরিওয়াল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, প্রথম কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পয়ঃনিষ্কাশনের কাজ করছি। প্রথমত, নতুন নর্দমা শোধনাগার তৈরি করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, বিদ্যমান প্ল্যান্টের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে, তৃতীয়ত, পুরনো ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের প্রযুক্তি পরিবর্তন করা হচ্ছে। চতুর্থত, ঝুপড়ির যে সমস্ত বর্জ্য নদীতে যায় তা এখন নর্দমায় মিশে যাবে। পঞ্চমত, কিছু এলাকাযর মানুষ নর্দমার সংযোগ নেয়নি, আমরা নামমাত্র খরচে ওই সমস্ত এলাকায় নর্দমা সংযোগ স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ষষ্ঠ-নিষ্কাশন, নর্দমা পুনর্বাসন।
কেজরিওয়াল এদিন ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে আরও জানিয়েছেন, “যমুনা নদী নোংরা হতে ৭০ বছর লেগেছে, দু’দিনে পরিষ্কার করা যাবে না। আমি এই নির্বাচনের সময় দিল্লির জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম আগামী নির্বাচনের মধ্যে যমুনা নদী পরিষ্কার করা হবে। আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে আমাদের ৬টি কর্ম পরিকল্পনা রয়েছে, আমি ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”