BRAKING NEWS

Social degradation : মুড়াবারি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় কিশোর কিশোরী উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ নভেম্বর।। সামাজিক অবক্ষয় দিনের-পর-দিন চরম আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। ধর্মনগর থেকে এক কিশোর কিশোরী পালিয়ে এসে বিশাল করে এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। অবশেষে স্থানীয় জনগণ এবং সাংবাদিকদের তৎপরতায় তাদেরকে তুলে দেওয়া হয় চাইল্ড লাইনের হাতে। অবক্ষয় গ্রাস করছে গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে। নানাভাবে ভুল পথে ধাবিত হচ্ছে রাজ্যের যুবসমাজ। প্রযুক্তিবিদ্যা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বেড়াজালে প্রতিক্ষণে আবদ্ধ যুব সমাজ দিকভ্রষ্ট হচ্ছে বারবার। ১৪ বছরের কিশোরী এবং ১৭ বছরের কিশোর একে অপরের সাথে পালিয়ে সুদূর ধর্মনগর থেকে চলে আসে বিশালগড়ে। ছেলেটির সোশ্যাল মিডিয়ার আরেক বন্ধুর বিশালগড়ের বাড়িতে পালিয়ে আসে তারা দুজন। বুধবার রাতে বিশালগড় থানাধীন মুড়াবারি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এই কিশোর কিশোরীকে উদ্ধার করে এলাকার লোকজন।

ঘটনা জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকায়। খবর পৌঁছায় সংবাদ মাধ্যমের কাছে। সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক তৎপরতা না থাকলে হয়তো স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রহারে গুরুতর আহত হতে পারত এই দুই কিশোর কিশোরী। যদিও ঘটনা রাত্রি তখন প্রায় ১১ টা নাগাদ। সাংবাদিক এবং স্থানীয় লোকজন বিশালগড় থানায় ফোন করেন। থানা বাবুরা তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছেন। বিশালগড় থানা বিষয়টি মহিলা থানার বলে দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করে এবং মহিলা থানা ঠিক একই রকমভাবে বিশালগড় মূল থানার বিষয়ে বলে কেটে পড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা দ্বারস্থ হন বিশালগড় চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষের। কিন্তু তারাও বিভিন্ন প্রকার অজুহাত দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছিলেন বুধবার রাতে। শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকদের সচেষ্ট প্রচেষ্টায় সেই কিশোর-কিশোরীকে অক্ষত অবস্থায় পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় এবং পুলিশ বুধবার রাতে সেই কিশোর-কিশোরীকে বিশালগড় থানায় নিয়ে যায়। নাবালক এবং নাবালিকাদের এহেন পদক্ষেপে রীতিমতো প্রশ্ন উঠে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার উপর। বর্তমানের এই যান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় আগামী প্রজন্ম কতটা সুরক্ষিত তা ভাববার বিষয়। প্রশ্ন রইলো পুলিশের ভূমিকা নিয়ে । রাত্রিকালীন অবস্থায় বিভিন্ন অসামাজিক গতিবিধির ওপর নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ রাখা পুলিশের দায়িত্ব।কিন্তু এই ক্ষেত্রে আবারও বিশালগড় থানার খামখেয়ালিপনা প্রকাশ্যে আসল। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *