কলকাতা, ১১ নভেম্বর (হি. স.) : মালালার বিয়ের খবরে যখন সকলে উচ্ছ্বসিত, তার ঠিক বিপরীত মেরুতে হাঁটতে দেখা গেল তসলিমাকে। জানালেন, মালালার বিয়েতে মোটেই তিনি খুশি হননি। বরং মর্মাহতই হয়েছেন। এই মন্তব্য নিয়ে টুইটে প্রবল বিতর্ক হয়েছে।
টুইট করার পর তিন ঘন্টায় বেলা সাড়ে ১২টায় লাইক, শেয়ার ও মন্তব্য এসেছে যথাক্রমে ১ হাজার ১৫৩, ৪১৮ ও ৯১২। গত রাত ২টো ৪০ মিনিটে এ ব্যাপারে তসলিমার প্রথম টুইটে লাইক ও শেয়ার এসেছে যথাক্রমে ৩ হাজার ৫০০ ও ২ হাজার ১০০।
নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের এক পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ে করা তিনি কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না! টুইট করে সেই হতাশা প্রকাশও করে ফেললেন তসলিমা নাসরিন। ৯ নভেম্বর ব্রিটেনের বার্মিংহামে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের উদ্যোগপতি অসর মালিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন মালালা। সেই খবরটি তিনি নিজেই নেটমাধ্যমে জানান।
অখুশি হওয়ার কারণ লিখতে গিয়ে তসলিমা লিখেছেন, “মালালা কাকে বিয়ে করলেন? এক জন পাকিস্তানিকে। এখানেই আপত্তি লেখিকার। টুইটে তিনি লেখেন, ‘এটা জেনে খুবই হতাশ হচ্ছি যে, মালালা এক জন পাকিস্তানিকে বিয়ে করেছেন। ওঁর বয়স মাত্র ২৪। মালালা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। আশা করেছিলাম এক জন সুদর্শন এবং প্রগতিশীল ইংরেজের প্রেমে পড়বেন তিনি। ৩০ বছরের আগে বিয়ের কথা ভাববেন না। কিন্তু…’।
১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াট জেলায় এক সুন্নি মুসলিম পরিবারে জন্ম মালালার। ২০১২ সালে স্কুলে যাওয়ার পথে জঙ্গি হামলার শিকার হন তিনি।
তেহরিক-ই-তালিবান পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তান। হাজারো বাধা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও নারীশিক্ষা বিস্তারে তাঁর সক্রিয় ভূমিকার জন্য ২০১৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান মালালা। হামলার পর তাঁকে চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ডে নিয়ে আসা হয়। তখন থেকেই পাকাপাকি ভাবেই ইংল্যান্ডের বাসিন্দা মালালা। এবং সেখান থেকেই নারীশিক্ষা বিস্তারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।