নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ নভেম্বর।। খোয়াইয়ে শাসকদলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নিগৃহীত বাম যুবকর্মী বাইক ও মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুর নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীদের আটকানোর লক্ষ্যে খোয়াইয়ে শাসকদলের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ ও নিরীহ নাগরিকেরাও। বিরোধী দলের কাউকে কোন ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকারের সুযোগ না দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুর পরিষদ দখল করার লক্ষ্যে শাসকদলের লাগাতার সন্ত্রাস নেমে আসছে সাধারণ মানুষ ও নিরীহ নাগরিকদের ওপরেও।
নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীদের আটকাতে গিয়ে শাসকদলের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসের শিকার হতে হচ্ছে বিভিন্ন অংশের মানুষকে। মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট অফিসে বিভিন্ন জরুরী প্রয়োজনে ছুটে আসা মানুষজন আক্রান্ত হয়েছেন শাসকদলীয় দুষ্কৃতীদের হাতে এস ডি এম অফিস চত্বরেই।মারাত্মক আতংক ছড়িয়ে এস ডি এম অফিস চত্বরে।ভয়ভীতির পরিবেশ কায়েম হয়ে রয়েছে অফিসটিলায়। অথচ সবকিছু দেখে শুনেও প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকায় অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের মতো।বুধবার ব্যক্তিগত জরুরী প্রয়োজনে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট অফিসে গিয়ে কাজ শেষ করে ফেরার পথে শাসকদলের সন্ত্রাসীদের হাতে শারীরিক নিগৃহীত হলেন জনৈক নিরীহ নাগরিক। বিশ্বজিৎ সরকার (৩৭) নামে আক্রান্ত একজন বাম যুবকর্মী।
নিজের ভোটার পরিচিতিপত্র হারিয়ে যাওয়ায় বিকল্প পরিচিতিপত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তিনি এদিন ব্যাংকের চালান ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন এস ডি এম অফিসে। সেখান থেকে ফেরার পথে অফিসটিলায়ই বি জে পি -র দুষ্কৃতীদের সংঘবদ্ধ হামলার মুখে পড়তে হয় তাকে।শাসকদলের সন্ত্রাসীরা মোটর বাইক থেকে নামিয়ে বিশ্বজিৎ সরকারকে ক্রিকেট ব্যাট, কাঠের ফাইল, বাঁশের লাঠি ও লাকড়ি দিয়ে তাকে মারতে শুরু করলে তিনি বাঁচাও বাঁচাও বলে প্রাণরক্ষায় কোনরকমে দৌড়ে অনেকটা রাস্তা পার হয়ে এক জায়গায় লুকিয়ে আশ্রয় নেন।বাড়ীর লোকজন খবর পেয়ে বিশ্বজিৎ সরকারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এনে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর থানায় গিয়ে ঘটনা পুলিশকে জানান তিনি।বি জে পে দুষ্কৃতীরা বিশ্বজিৎ সরকারের মোটর বাইক, মোবাইল ফোন ও জরুরী কাগজপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। অফিসটিলায় এদিন অনেক মানুষই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তবে শাসকদলীয় সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউই এগিয়ে আসার সাহস করেননি।