কাবুল, ৩১ আগস্ট (হি.স) : ২০ বছরের যুদ্ধের শেষে আফগানিস্তান থেকে ফিরল আমেরিকার সৈনিকদের শেষ ব্যাচ। বাস্তবে ৩০ আগস্ট রাতেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈনিকদের অপসারণ সম্পূর্ণ হল। এদিন শেষ দফায় ২৪০০ মার্কিন সেনাকর্মীকে আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। এর ফলে সেদেশে আমেরিকার আর কোনও সেনা রইল না। ২০০১ সালে আফগান যুদ্ধের শুরুতে সেদেশে ক্ষমতায় ছিল তালিবান। ২০ বছর বাদে দেশটা তালিবানেরই হাতে ছেড়ে এল আমেরিকা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য ফিরিয়ে আনবেন। জঙ্গিদের ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য শত শত কোটি ডলার খরচ করেছে মার্কিন প্রশাসন। কিন্তু তারা সফল হয়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কাবুলে শূন্যে গুলি ছুড়ে আনন্দ প্রকাশ করতে থাকে তালিবান যোদ্ধারা। তালিবানদের দাবি, মার্কিন সেনার প্রত্যাবর্তনের এই মুহূর্তটি ঐতিহাসিক। পূর্বনির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী ৩১ আগস্টের মধ্যে সব মার্কিন সেনাকে সরিয়ে আনা যাবে কিনা, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় ছিল। গত কয়েকদিনে খুব দ্রুত কয়েক হাজার মার্কিন নাগরিককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যে আফগান নাগরিকরা মার্কিন সেনাকে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদেরও সরিয়ে আনা হয়েছে আফগানিস্তান থেকে।
আনাস হাক্কানি নামে এক শীর্ষস্থানীয় তালিবান নেতা বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আমি গর্বিত।’ গত ১৫ আগস্ট তালিবান সেনা কাবুল দখল করে। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ২৩ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিক ও তাঁদের সহযোগীদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আমরা আশা করব, তালিবান আগামীদিনে আফগান জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। সেদেশে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও অন্যান্য দেশের ত্রাণ সংস্থাগুলিকে কাজ করতে বাধা দেবে না। এতদিন কাবুল বিমান বন্দর ছিল আমেরিকার সৈনিকদের হাতে। তারা ফিরে আসার পরে কারা ওই বিমান বন্দরের দায়িত্বে থাকবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোন কোন দেশের বিমান এখন কাবুলে ওঠানামা করবে, তাও তালিবান জানায়নি।

