নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ আগস্ট৷৷ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম রকেট গতিতে বাড়ছে৷ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে বাজার৷ প্রতিটি বাজারে ক্রেতাদের পকেট কাটছে বিক্রেতারা৷ রাজ্য সরকারের মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে কোন ব্যবস্থা নেই৷ এককথায় নির্বিকার প্রশাসন৷ রাজধানী আগরতলা শহরের প্রধান প্রধান বাজারগুলিতে শাকসব্জির দাম ব্যবসায়ীর একেক দিন একেক রকম ভাবে স্থির করে ক্রেতাদের পকেট কাটছে৷ মহারাজগঞ্জ বাজার থেকে বেরিয়ে আশেপাশের যেকোন বাজারে গেলে প্রতিটি শাকসব্জির কেজি দরে নূ্যনতম দশ টাকা বেশীতে বিক্রি করছে ব্যপারীরা৷
মর্জিমাফিক দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে বাজারে৷ যদিও একই শাকসব্জি এক জায়গা থেকে মূলতঃ পাইকারি দরে নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা৷ তারপর নিজেদের মতো করে শাকসব্জির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ রাজধানী আগরতলা শহরের বটতলা বাজার ও মহারাজগঞ্জ বাজার ছাড়া অন্য যেসব বাজার নিত্যদিন বসছে সেগুলিতে দামের রকমফের হচ্ছে৷ বিশেষ করে জেকশন গেইট সংলগ্ণ উজ্জ্বয়ন্ত মার্কেটে (অধুনা তুলসীবতী বাজার) যে শাকসব্জি মিলছে তার সাথে মহারাজগঞ্জ বাজারের দামের ক্ষেত্রে কমপক্ষে দশ টাকার হেরফের৷ উজ্জয়ন্ত মার্কেটে প্রতিটি পদের মূল্য দশ থেকে কুড়ি টাকা বেশীতে বিক্রি করা হয়৷ একই অবস্থা লেইক চৌমুহনী বাজার, চন্দ্রপুর বাজার৷ মঠচৌমুহনী বাজারের কথা বললে তো আঁতকে উঠতে হয়৷ জিবি বাজারেও একই অবস্থা৷
প্রশ্ণ উঠেছে ক্রেতা সাধারণের তরফ থেকে বাজারের উপর কি তাহলে প্রশাসনের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই৷ মহকুমা শাসকের কার্যালেয়ে বাজারে পণ্যসামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করা রয়েছে৷ কোথায় এই টিম৷ আজ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে৷ প্রশাসন ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকায়৷ অবিলম্বে প্রশাসনের জড়তা কাটিয়ে ময়দানে নামতে হবে, এমনটাই দাবী ক্রেতা সাধারণের৷
এদিকে, ক্রেতা সাধারণের আরও অভিযোগ শাক সব্জি ছাড়াও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী যেগুলি রসুই ঘরে অত্যাবশ্যক- মশুর ডাল, সরিষার তেল এর মূল্য নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ৷ যদিও কিছুদিন পূর্বে সরিষার তেলের মূল্য নিয়ে মতভেদ দেখা দেওয়ায় প্রশাসনের তরফ থেকে বাজারগুলিতে নজরদারী চালানো হয়েছিল৷ কিন্তু, সেই নজরদারী ও অভিযান বন্ধ হয়ে আছে৷ আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্রেতা সাধারণের পকেট কাটছে ব্যবসায়ীরা৷