আগরতলা, ২৩ আগস্ট (হি. স.) : ত্রিপুরায় এই প্রথম তিপ্রাসা অন্য তিপ্রাসাদের উপর অত্যাচার করছেন। এডিসি নির্বাচনোত্তর তিপরা মথার সমর্থকদের সন্ত্রাসের ঘটনায় বিরক্ত কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ রাষ্ট্র মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক আজ এ-কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কটাক্ষ, তিপ্রাল্যান্ড, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দোহাই দিয়ে কে কতো বড় ধোকাবাজি করতে পারে তার লক্ষণ এডিসি-তে দেখা যাচ্ছে। আজ তিনি নাম না করে তিপ্রা মথা-কে ধুয়েছেন। সাথে তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে শাসনের নমুনা সকলেই দেখছেন। সংসদেও তাঁদের নোংরামি সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
আজ আগরতলায় বিজেপি মহিলা মোর্চার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিককে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ওই সম্বর্ধনা সভায় তিনি ত্রিপুরার সমস্ত মহিলাদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ আসনে জয় সুনিশ্চিত করার আওয়াজ তুলেছেন। এদিন তিনি বলেন, জন আশীর্বাদ যাত্রায় যুব ও মহিলা মোর্চা ত্রিপুরায় বিজেপির শক্তি দেখিয়ে দিয়েছেন।
তাঁর কথায়, আমরা কখনো ভাবিনি ত্রিপুরা থেকেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাই হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন। তিনি বিদ্রুপ করে বলেন, অতীতে স্বপ্ন দেখার জন্য পার্টি অফিসের অনুমতির প্রয়োজন হতো। তাই, ত্রিপুরায় মানুষ স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য আবারও আমরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। তিনি জোর গলায়, প্রতি ঘরে রোজগার পৌছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পূরণ হবে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে রোজগার নিশ্চিত করা হবে।
এদিন তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, এখন অনেকেই পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে আসেন। অথচ, ২৫ বছর পরিবর্তন করার মতো ক্ষমতা কারোর হয়নি। তাঁর মতে, ত্রিপুরায় পরিবর্তন সহজে আসেনি। হাজার হাজার কার্যকর্তার অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগের বিনিময়ে পরিবর্তনের ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, জনজাতি অঞ্চলে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের চার স্বয়ং সেবক বলিদান দিয়েছেন। এমন উদাহরণ দেশের আর কোথাও মিলবে না।
প্রতিমা ভৌমিক আজ আজ উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, তিপ্রাল্যান্ড, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দোহাই দিয়ে কে কতো বড় ধোকাবাজি করতে পারেন তার লক্ষণ এডিসি-তে দেখা যাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, কাদের ঢোকা দেওয়া হচ্ছে। তিপ্রাসাকে নিজেরাই ধোকা দিচ্ছেন। তিনি আজ প্রচন্ড বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, এই প্রথম ত্রিপুরায় তিপ্রাসা অন্য তিপ্রাসাদের উপর অত্যাচার করছেন। সবচেয়ে বেশি মহিলারা অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। তাতে তিনি নাম না করে তিপ্রা মথা-কে বিধেছেন।
তিনি আজ তৃণমূল কংগ্রেসকেও এক হাত নিয়েছেন। তাঁর কটাক্ষ, হটাত কিছু রাজনৈতিক দল আমদানি হচ্ছে। অতীতেও আমদানি হয়েছে। কিন্ত, ত্রিপুরায় বিজেপির শক্তির কাছে আগামী ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে পরাস্ত হবেন।