আগরতলা, ২৩ আগস্ট (হি. স.) : করোনার প্রকোপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ত্রিপুরায়। ফলে, রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে বিদ্যালয়গুলিতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত আগামী ২৫ আগস্ট থেকে পঠন-পাঠন শুরু হচ্ছে। এক্ষেত্রে পঠন-পাঠনে বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষের অভাব হলে দুই ধাপে ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ জারি হয়েছে। ইতিপূর্বে, আগামী ২৫ আগস্ট থেকে সমস্ত মহাবিদ্যালয়গুলিতেও পঠন-পাঠন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরার শিক্ষা দফতর।
বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকর্তা আজ এ-বিষয়ে এক আদেশ জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ত্রিপুরায় করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী এবং ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনায় ভীষণ ব্যাঘাত ঘটছে, তাই রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে বিদ্যালয়গুলিতে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন-পাঠন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর। এক্ষেত্রে কোভিড বিধি অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। টিটিএএডিসি সহ রাজ্যের সরকারী, সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত এবং বেসরকারী ও মাদ্রাসার জন্য ওই আদেশ প্রযোজ্য হবে।
আদেশানুসারে, যে বিদ্যালয়গুলি এক বেলা পঠন-পাঠনের সুযোগ রয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষের ঘাটতি হলে দুই ধাপে ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথম ধাপে সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং দ্বিতীয় ধাপে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত পঠন-পাঠন হবে। যে বিদ্যালয়ে দুই বেলা পঠন-পাঠনের সুযোগ রয়েছে সেখানে রোস্টার মেনে অর্ধেক ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকবে। বাকি অর্ধেক তার পরদিন বিদ্যালয়ে আসবে। তবে, ১০০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি অবশ্যই থাকবে হবে।
এদিকে, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন স্থগিত থাকে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নতুন দীশা প্রকল্পের প্রচার করবেন। অন্যদিকে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কোভিড বিধি সুনিশ্চিত করতে হবে। তাতে, মাস্ক পরা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সমস্ত কিছুই বাধ্যতামূলক থাকবে। এছাড়া, জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের সমস্ত বিদ্যালয়ে নজরদারি চালানোর জন্য দল গঠন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।