BRAKING NEWS

Death trap due to lack of repairs : আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক সংযোগকারী উপ্তাকালী পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে মরণ ফাঁদে পরিণত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ আগস্ট।। উত্তর জেলার ধর্মনগরের বটরসি স্হিত জোর কালভার্ট থেকে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক সংযোগকারী উপ্তাকালী পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কুড়ি হাজারের অধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার বেহাল দশা,দাবি উঠেছে সংস্কারের। কুড়ি হাজারের অধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তারটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।বাম অথবা রাম কোন আমলে সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।সংস্কারের অভাবে কৃষি জমিতে পরিনত ধর্মনগর জোর কালভার্ট থেকে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক সংযোগকারী উপ্তাকালী প্রধান মন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় নির্মিত রাস্তাটি।১৫ কিঃমিঃ পথের অধিকাংশেই বড় বড় গর্ত।দাবি উঠছে দ্রুত সংস্কারের।


ঘটনার বিবরণে জানা যায়,উত্তর জেলার ধর্মনগরের বটরসি স্হিত জোর কালভার্ট থেকে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক সংযোগকারী উপ্তাকালী পর্যন্ত প্রধান মন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় নির্মিত রাস্তাটি দীর্ঘ বছর যাবৎ বেহাল অবস্থায় ধুঁকছে। সংস্কারের অভাবে ব্যস্ততম প্রায় ১৫ কিঃমিঃ রাস্তাটি আজ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।মূলত এই রাস্তা দিয়ে ডুপিরবন্ধ লালছড়া, উত্তর লালছড়া, দক্ষিণ লালছড়া,উপ্তাকালী,গঙ্গানগর,টিপরাগুল সহ ৭/৮ টি গ্রামের কুড়ি হাজারের অধিক লোকের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।এই রাস্তা দিয়েই উক্ত গ্রামের জনগণকে ধর্মনগরে প্রবেশ করতে হয়।দীর্ঘ বাম আমল থেকে ব্যস্ততম এই রাস্তাটি সংস্কার না করে রেখেছিল,যা রাম আমলেও বিদ্যমান। উক্ত এলাকার গ্রামবাসীদের একটাই দাবি,বর্তমান উন্নয়নমুখী সরকার ধর্মনগর বটরসিস্হিত জোর কালভার্ট থেকে আসাম আগরতলা সংযোগকারী উপ্তাকালী প্রধান মন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তাটি মেরামতি করে মানুষ চলাচলের উপযোগী করে তুলুক।গ্রামবাসী আরো জানান, ডুপিরবন্ধ লাল ছড়া, উত্তর লাল ছড়া, দক্ষিণ লালছড়া,উপ্তাকালী,গঙ্গানগর ও টিপরাগুল এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। সারা বছর কৃষি কাজ করে উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করে পরিবার প্রতিপালন করেন উক্ত এলাকার জনগণ।

কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটির করুণ দশায় থাকাতে উৎপাদিত ফসল ধর্মনগর শহরে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে অনেকটা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।জরাজীর্ণ রাস্তার কারণে বাইরের কোন গাড়ি উক্ত এলাকায় প্রবেশ করে না। অনেক সময় রাস্তার বেহাল দশার কারণে যান দুর্ঘটনাও সংঘটিত হয়েছে।তাছাড়া ঐসকল গ্রামের কোন মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে স্হানীয়দের কাশি ঘন্টা বাজে।তাছাড়া গর্ভবতী মহিলা হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যে কতটা কষ্টকর হয়ে পড়ে তা একমাত্র হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন উক্ত এলাকার জনগণ। পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল কলেজে যেতে গেলে এক হাঁটু কাদা জল পেরিয়ে স্কুল কলেজে যেতে হয়। স্থানীয় জনগণ আরো বলেন,পূর্বতন বাম সরকারের আমলে আনুমানিক ২০১৩/১৪ অর্থবছরে ব্যস্ততম এই সড়কটি মেরামতি করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে আজ পর্যন্ত সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

বাম অথবা রাম উভয়ের শাসনকালে বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন ৭/৮ টি গ্রামের প্রায় কুড়ি হাজারের অধিক মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে রাস্তার উপর পুকুর সমতুল্য গর্তে বাংলা ভাট্টার কিছু ইট ফেলে দায় সাড়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এক-দু’দিন সেই ইটের উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করলে ইটের নামগন্ধ দেখা যায়না রাস্তার উপরে। স্থানীয়রা আরও বলেন,মিশ্র ঘনবসতিপূর্ণ প্রাকৃতিক মনোরমে ভরপুর ডুপিরবন্ধ লালছড়া এলাকায় লালছড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লালছড়া হেলথ সাব সেন্টার, লালছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে থাকলেও একমাত্র সড়কটির দিকে বিন্দুমাত্র নজর নেই রাজ্য সরকারের।
রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্হানীয় জনগণ জোরালো দাবি জানান,অতিসত্বর ব্যস্ততম এই রাস্তাটি সংস্কার করে তাদের চলাচলের উপযোগী করে তুলুক পরিবর্তন গামী সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *