নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ আগস্ট।। ওঁরা ত্রিপুরায় বেড়াতে আসছেন। তাঁদের পিকনিকে কেউ বাধা দেবেনা। আজ এই সুরেই তৃণমূলকে বিধলেন বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি ডা: মানিক সাহা। তাঁর সাফ কথা, আমরা তৃণমূলের খেলা দেখতে চাই। পশ্চিমবঙ্গে সবাই তৃণমূলের খেলা দেখেছেন। আমরা ওই খেলায় বিশ্বাসী নই।
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে তীব্র বিষোদগার করলেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি। ডা: মানিক সাহার কথায়, ত্রিপুরায় গত তিন বছরে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শুধরেছে। অথচ, এখন তৃণমূল কংগ্রেস অশান্তি কায়েমের চেষ্টা করছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গেও তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাসের উপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস সকলেই অবগত রয়েছেন। ওই রাজ্যে বহু বিজেপি কর্মী বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তাঁর কটাক্ষ, হিংসায় যারা বিশ্বাস রাখেন, সাম্প্রদায়িক কার্ড নিয়ে চলাফেরা করেন, তাঁরাই এখন ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, তৃণমূল মূলত সিপিএমের মুখোস পড়া দল। তাই, সিপিএমের কায়দায় পশ্চিমবঙ্গে শাসন চালিয়েছে তৃণমূল। সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় সিপিএম এখন ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন। কারণ, এডিসি নির্বাচনে শূন্য হয়ে এখন তাঁদের বিধানসভা নির্বাচনেও একই পরিনতি হওয়ার অবস্থায় দাড়িয়েছে।
তৃণমূলের উদ্দেশ্যে তাঁর সাফ কথা, ত্রিপুরায় আসবেন বাধা নেই। কিন্ত, হিংসা ছড়ালে বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেন, তৃণমূলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় প্রস্তুত বিজেপি। কারণ, তাঁদের নিয়ে আমরা মোটেও চিন্তিত নই। ডা: মানিক সাহার দাবি, ত্রিপুরায় বিজেপির ৩৬৫ দিন কর্মসূচি রয়েছে। আমরা সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পৌছানোর লক্ষ্য নিয়ে চলছি। অথচ, সংগঠন ছাড়া, লোকবল হীন তৃণমূল ত্রিপুরায় খেলা দেখাতে চাইছে। তাঁর কথায়, আমরা তৃণমূলের খেলা দেখতে চাই। পশ্চিমবঙ্গ খেলা দেখেছে। আমরা সেই খেলায় বিশ্বাসী নই।
তাঁর কটাক্ষ, তৃণমূলের নেতারা ত্রিপুরায় বেড়াতে আসছেন। তাঁদের পিকনিকে কেউ বাধা দেবে না। তবে, শান্তি বিঘ্নিত হলে বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বিদ্রুপের সুরে বলেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলকে সিপিএমের সাথে গোপন বোঝাপড়া করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্ত, সর্ব ভারতীয় তকমা আদায়ে তৃণমূলের সব চেষ্টাই ত্রিপুরায় ভেস্তে যাবে।