নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ আগস্ট।। বিজেপি বাইক বাহিনীর সন্ত্রাসের শিকার খোয়াইয়ের সিপিআইএম বিধায়ক সহ বেশ কিছু কর্মী সমর্থক। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা থেকে খোয়াই বিধানসভা এলাকায় সারারাত ব্যাপী তাণ্ডব চালায় গেরুয়া বাহিনী। রাত এগারোটা নাগাদ একদল বাইক বাহিনী প্রথমে বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস এর বাড়ির বাউন্ডারি ও গেইট ভাঙচুর করে। তিনটি পেট্রোল বোমা ছোড়ে। এই পেট্রোল বোমা থেকে অল্পেতে রক্ষা পান বিধায়ক সহ বিধায়কের পরিবার।
বিধায়ক সহ বিধায়কের পরিবারের লোকজন ঐক্যবদ্ধভাবে লাঠি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে বাহিনী তিনটি বাইক ফেলে সেখান থেকে চলে যায়। বাইক বাহিনী পালানোর সময় আরেকটি বাইক নিয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে যায়। তাছাড়া খোয়াইয়ের কাঠালতলা টিলা এলাকায় বাইক বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেল গোটা পরিবার সহ রাখাল ঘোষ। ওই রাতেই রাখাল ঘোষ বাড়ির গেট লাগানোর জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে দুই যুবক বাইরে থাকা বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে দেয়। পুনরায় রাখালবাবু ঘরে প্রবেশ করে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করতেই পেট্রোল ঢেলে ঘরের বারান্দায় আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুন সাথে সাথে সমগ্র ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। রাখালবাবুর পা ও রাখালবাবুর এক আত্মিয়ের পা পুড়ে যায়। এমন অবস্থায় প্রতিবেশীদের অনেক ডাকাডাকি করার পর কেউ সাড়া দেয়নি। পরবর্তী সময় নিজেরাই যান খোয়াই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য। এছাড়াও মহাদেবটিলাতে ২ বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে। চন্দন দাসের ও বিশ্বজিৎ দাসের বাড়ি ভাংচুর করেছে।বিশ্বজিত সহ তার বাবা, ছোট ভাইকে শারীরিক ভাবে আক্রমণ করেছে।
বিশ্বজিতের ছোট ভাই সত্যজিৎএর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে এবং শরীরে অসংখ্য মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার বাবার হাতে মারাত্মক আঘাত লেগেছে। ইটের টুকরো দিয়ে ঢিল ছুড়ে চোখের পাশে। হাঁটুতে আর কাঁধে আঘাত পেয়েছে। তারপরও প্রতিরোধে পালাতে বাধ্য হয়েছে দুর্বৃত্তরা। গেরুয়া বাহিনী সংখ্যায় ছিল তারা ৩৫ জনের মতো। তাছাড়াও সোনাতলা, অজগরটিল, তবলাবাড়ি, অফিসটিলা, গণকি ইত্যাদি এলাকায় সারারাত তাণ্ডব চালায়। ওই এলাকার সিপিআইএমের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর চালায়। গনকি আনন্দমার্গ স্কুল সংলগ্ন রাস্তার সাথে একটি স্টিলের ফার্নিচারের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন বেশিদূর গলাতে পারেনি। যার ফলে রক্ষা পেল গোটা দোকানটি। সিপিআইএম পার্টি অফিস সংলগ্ন বনকর এলাকায় একটি ভুসিমালের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। দোকানের সমগ্র জিনিসপত্র পুড়ে ছাই।