BRAKING NEWS

Stopped three child marriages : একই দিনে তিনটি বাল্যবিবাহ রুখে দিল চাইল্ড লাইন ও মহিলা থানার পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ আগস্ট।। বিশালগড়ের ধ্বজনগর এলাকায় একই দিনে তিনটি বাল্যবিবাহ রুখে দিল চাইল্ড লাইন ও মহিলা থানার পুলিশ। কেন্দ্র করে এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও” স্লোগান রীতিমতো প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে বিশালগড়ে। একই দিনে তিন তিনটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করলো সিপাহীজলা চাইল্ড লাইন ও বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা মহকুমা জুড়ে।

এক দিনে একই গ্রামে তিনটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করল সিপাহীজলা চাইল্ড লাইন ও বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ। ঘটনা বিশালগড় থানাধীন ধ্বজনগর এলাকায়। জানা যায় ,চাইল্ড লাইন এবং বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল ধ্বজনগর এলাকায় তিনটি নাবালিকার বিয়ে ঠিক হয়েছে। দুটো বিয়ে একদিনে হওয়ার কথা এবং অপরটি পরের দিন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সিপাহীজলা চাইল্ড লাইন ও বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ। চাইল্ড লাইনের কর্মীরা জানায় প্রথম খবরটি ছিল এলাকার বাসিন্দা জয়নাল হোসেন তার ১৫ বছরের নাবালিকা কন্যার বিয়ে ঠিক করেছেন। পরের দিন বিয়ে। রীতিমতো বিয়ের বাজার করাও সম্পন্ন হয়ে গেছে।

ঠিক সেই সময় চাইল্ড লাইন গিয়ে তাদের বাড়িতে হানা দেয় এবং বিয়ে না দেওয়ার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করে। দ্বিতীয় ঘটনাটি একই এলাকার বাসিন্দা শাহপরান মিয়ার বাড়িতে। অভিযোগ শাহপরান মিয়ার বাড়িতে তার নাবালিকা কন্যার এদিনই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেল থেকে শুরু করে সমস্ত কাজ শেষ। মেয়ে পার্লারে সাজতে গিয়েছে। ঠিক এই সময় চাইল্ড লাইন হানা দেয় ওই বাড়িতে। ভেঙে দেয় বিয়ে। তৃতীয় ঘটনাটি একটু ভিন্ন। এলাকার সুকুমার দেবনাথের ছেলে রাকেশ দেবনাথ বিশালগড় জাঙ্গালিয়া এলাকা থেকে এক নাবালিকাকে তুলে বাড়িতে নিয়ে আসে বিয়ে করার জন্য। এদিনই তাদের বিয়ের কথা ছিল। ডিজে সাউন্ড বক্স থেকে শুরু করে রান্নার কাজ সবই মোটামুটি হয়ে গেছে। বাড়ির রমণীরা বিয়ের জল তুলতে গেছে পুকুর ঘাটে। ঠিক এই সময় তাদের বাড়িতে হানা দেয় বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ এবং চাইল্ড লাইন।

তুলে নিয়ে আসা হয় নাবালিকা কন্যাকে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান চাইল্ড লাইনের কর্মী।একই গ্রামে একই দিনে তিন তিনটি বাল্যবিবাহের চেষ্টার ঘটনায় রীতিমতো প্রশ্ন উঠছে এলাকার জনসচেতনতা নিয়ে। একবিংশ শতাব্দীতে এইরকম গণহারে বাল্যবিবাহের ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ডাক দেওয়া “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও” স্লোগান রীতিমতো প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।খোয়াই শহরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলিতে বিজেপির বাইক বাহিনীর তান্ডবে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাইক বাহিনী তান্ডব চালিয়েছে বিরোধী দলের বিধায়ক নির্মল বিশ্বাসের বাড়িতে। বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে খোয়াই এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *