নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ আগস্ট।। চাকরিচ্যুত বিকলাঙ্গ শিক্ষকের এখন বাঁচার একমাত্র ভরসা কৃষিকাজ। লড়াই-সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন বিকলাঙ্গ শিক্ষক বিমল দেববর্মা। ছিলেন শিক্ষক। নির্মম পরিহাসে চাকুরী হারিয়ে এখন তিনি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বাঁচার তাগিদে এখন কৃষি কাজই তাকে বেছে নিতে হয়েছে। ১০৩২৩ এর চাকরীচ্যুত শিক্ষক বিকলাঙ্গ বিমল দেববর্মা ।
বিমল দেববর্মার বাড়ি চড়িলাম আর ডি ব্লকের অন্তর্গত রামনগর এডিসি ভিলেজ কমিটি এলাকার রামনগর বাজার সংলগ্ন এলাকায়। গরিব পরিবার এবং বিকলাঙ্গ ব্যক্তি। বিকলাঙ্গ কৌটায় আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। সর্বশেষ চাকরি করেছিলেন রামনগর রামনারায়ন ঠাকুরপাড়া স্কুলে। পিতার মৃত্যু হয়েছে দেড় বছর হয়েছে। চাকরি হারিয়েছে ১৭ মাস হয়েছে। সংসার পরিচালনা করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন। তাই কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত কৃষি কাজ বেছে নিয়েছেন।
ক্ষেত খামারে কাজ করে সংসার প্রতিপালন করছেন। রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন রেখেছেন যাতে সরকার তাদের মত বিকলাঙ্গ মানুষদের চাকরি ফিরিয়ে দে য়। না হলে বাঁচতে কষ্ট হবে। এমনিতেই বিকলাঙ্গ মানুষ কাজ কর্ম তেমন একটা করতে পারেন না। ঠিক ভাবে হাঁটতে পারেন না। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হয়। এরপরেও বাঁচার তাগিদে কৃষিকাজকে বেছে নিয়েছেন। অনেক ছাত্র ছাত্রীদের মানুষ করেছেন। আজ নিজেরাই হতাশায় ভুগছেন। কি হবে ভবিষ্যৎ জানেন না বিমল বাবু। শুধুমাত্র সরকারের কাছে করজোড়ে আবেদন করেছেন তাদের মত বিকলাঙ্গ মানুষদের চাকরি গুলি যাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিকলাঙ্গ রয়েছেন। তারা শারীরিক অক্ষমতা জনিত কারণে কোন কাজ কর্ম করতে পারেন না। চাকরিচ্যুত হওয়ার পর তারা সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাদের অসহায়ত্বের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য সরকার ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।