BRAKING NEWS

Wild elephant attack : বন্যহাতির তাণ্ডবে রীতিমতো দিশেহারা কৃষ্ণপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী জনগণ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ আগস্ট।। বন্যহাতির তাণ্ডবে রীতিমতো দিশেহারা কৃষ্ণপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী জনগণ। রাত জেগে পাহারা দিয়ে হাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা গ্রামবাসীরা। বন্য দাঁতাল হাতির তাণ্ডব থেকে এলাকাবাসীদের রক্ষা করার জন্য বনকর্মীরা অভিনব উদ্যোগ নিল। কিন্তু এতে কতটা নিস্তার পাবে এলাকাবাসী এটাই এখন দেখার ব্যাপার। কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে কৃষ্ণপুর, মধ্য কৃষ্ণপুর, বালু ছড়া, কপালি টিলা সহ কৃষিপ্রধান এলাকাগুলিতে বন্য হাতির দল রাতের অন্ধকারে তাণ্ডব চালিয়ে কৃষি জমি নষ্ট করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। বন্যহাতি গুলিকে তাড়ানোর কাজে বনকর্মীরা ব্যস্ত থাকতে হয় দিন রাতে।

এরপরেও বন্যহাতির তাণ্ডব কিছুতেই ঠেকাতে পারছে না বনকর্মীরা। ফলে এলাকাবাসীদের রাত জেগে পাহারা দিতে হয় নিত্যদিন। যদিও বনকর্মীরা বাজি পটকা ফাটিয়ে হাতি দাঁড়িয়ে থাকে । এবার বনকর্মীরা মরিচ মিশ্রিত মশাল ব্যবহার করছে হাতি তাড়ানোর কাজে। এ ব্যাপারে এক বনকর্মী জানায়, মশাল তৈরি করার উপকরণ গুলি হল বাঁশ, আস্ত শুকনা লঙ্কা (মরিচ ), চটের বস্তা, গুণা এবং কেরোসিন। তিনি জানান একটি মরিচ মিশ্রিত মশাল তৈরি করতে ৭০০/৮০০ গ্রাম আস্ত শুকনা মরিচ প্রয়োজন। মরিচগুলো বাঁশের সাথে রেখে চটের বস্তা দিয়ে মুড়িয়ে কেরোসিন দিয়ে ভেজানো হয়। পরে সেই মশাল জ্বালিয়ে হাতির দিকে ফেলা হয়। প্রচন্ড ধোয়া এবং তীব্র মরিচ মিশ্রিত দুর্গন্ধে এলাকায় হাতি প্রবেশ করে না। এই উদ্যোগকে কাজে লাগাচ্ছে বন কর্মীরা। কিন্তু তাতে কতটা সুফল পাওয়া যায় সেটাাএখন দেখার ব্যাপার। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন হাতির তাণ্ডবে ওইসব এলাকায় মানুষ অতিষ্ঠ। রাতে ঘুমাতে পারছেন না। জমিতে ফসল ফলিয়ে করে তোলা যাচ্ছে না। চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাতে হচ্ছে তাদেরকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *