নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ আগস্ট।। মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছে হেরমা তহশীলদার। দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার পরও তহশিল অফিস এর দরজা খুলেনি। জরুরী প্রয়োজনে এসে মানুষ তহশিল অফিস খোলা না থাকায় ব্যর্থ মনোরথে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। তাতে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন প্রতিটি সরকারি দপ্তরে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে হবে। যাতে করে নাগরিকদের অসুবিধে না হয়।
প্রতিটি নাগরিক যাতে প্রতিটি সরকারি অফিসে গিয়ে সঠিকভাবে পরিষেবা পায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছে চরিলাম আর ডি ব্লকের অন্তর্গত রংমালা এডিসি ভিলেজ কমিটি এলাকায় হেরমা তহশীল। হেরমা তহশীল নির্দিষ্ট সময়ে খোলা হয় না। কোন কোন দিন একেবারেই বন্ধ থাকে তহশীল। হেরমা তহশিল অফিস সরকারি সময় অনুযায়ী খোলা হচ্ছে না। যার ফলে দূর-দূরান্ত থেকে জনগণ এসে প্রায় সময় ফিরে যায়। তহশীল বন্ধ থাকে। বুধবার দিনও বন্ধ ছিল তহশীল অফিস। বৃহস্পতিবার দিন বুদ্ধ রানী দেববর্মা নামে এক উচ্চমাধ্যমিক পাশ ছাত্রী সকাল দশটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত কাঠফাটা রোদের মধ্যে হেরমা তহশিল অফিস এর সামনে বসে থাকে। এই উচ্চমাধ্যমিক পাশ ছাত্রী এস টি সার্টিফিকেট পড়ানোর জন্য আসে। কলেজে এডমিশন এর জন্য এই সার্টিফিকেট প্রয়োজন। দুই দিন ধরে ঘুরছে। তহশীল খোলা পাচ্ছেন না।
এই ছাত্রীর বাড়ি হেরমা তহশীল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার ভিতরে রামনগর এলাকায়। এই ছাত্রীটি হেঁটে হেঁটে আসছে দুইদিন ধরে হেরমা তহশীলে । প্রায় সময় এই অফিস নিয়মিত খোলা হয় না বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। তহসিল অফিস এর সামনে সাইনবোর্ড রয়েছে। কিন্তু কিসের সাইনবোর্ড বুঝা যাচ্ছেনা। সাইনবোর্ডে লেখা গুলো মুছে গিয়েছে। তহশিলদার বাবুর সময় নেই একটি সাইনবোর্ড বানাবার জন্য। এই তহশীলটি বিশালগড় মহকুমা শাসকের জুরিডিকসনের মধ্যে।
সরকারি অফিস যদি এভাবে দিনের পর দিন নির্দিষ্ট সময়ে খোলা না হয় তাহলে জনসাধারণকে যে কি পরিমান দুর্ভোগ পোহাতে হয় তা হয়তো বা মহকুমা শাসক এবং জেলাশাসক জানেন না। এমনটাই অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। যদি তারা জানতেন তাহলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। এলাকাবাসী চাইছে এই তহশীল যাতে নির্দিষ্ট সময়ে খোলা হয় ,জনগণকে যাতে এসে ফিরে যেতে না হয়। না হলে যে কোন সময় এই তহসিল অফিস এর বিরুদ্ধে জনগণ আন্দোলন সংগঠিত করবে এমনটাই জানিয়েছে এলাকাবাসী।