নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ আগস্ট।। ত্রিপুরায় এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন সহ ৬ বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার দায়ে খোয়াই থানায় মামলা হয়েছে। খোয়াই থানার পুলিশ ভারতীয় দন্ডবিধি ১৮৬ ও ৩৪ ধারায় স্বত:প্রনোদিত মামলা নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার ভোরে কোভিড বিধি লঙ্ঘনের দায়ে দেবাংশু, জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহা সহ তৃণমূলের ১৪ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল খোয়াই থানার পুলিশ। তাঁদের গ্রেফতারীর খবরে কলকাতা থেকে প্রথমে ব্রাত্য বসু, দোলা সেন ও কুণাল ঘোষ ছুটে আসেন। তারপর তৃণমূল সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছুটে আসেন এবং আগরতলায় এসে সোজা খোয়াই চলে যান। খোয়াই থানায় ১৪ জন তৃণমূল কর্মীকে নি:স্বর্তে মুক্তি দেওয়ার দাবি তাঁরা চাপ সৃষ্টি করেন। থানায় ঢুকে চোখ রাঙানি থেকে শুরু করে শাসানি, কোন কিছুই বাদ দেননি অভিষেক-রা। ফলে, ওইদিন দীর্ঘ সময় থানা উত্তপ্ত ছিল।
ওই ঘটনায় খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেব্বর্মা সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে স্বত:প্রনোদিত মামলা করেন। পুলিশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, সুবল ভৌমিক ও প্রকাশ দাসের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি ১৮৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা নিয়েছে। খোয়াই থানার ওসি বলেন, গত ৮ আগস্ট তৃণমূলের ১৪ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের আদালতে পাঠাতে বাধা দিয়েছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁর দাবি, নেতাদের বাধা দেওয়ার কারণেই ধৃত ১৪ জনকে আদালতে সোপর্দ করতে অনেক বিলম্ব হয়েছে। তাই ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখন মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে, ওই ঘটনায় তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আবারও টুইটারে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে ধৃত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গুচ্ছের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করল খোয়াই থানার পুলিশ।