নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ আগস্ট : দিল্লি গেলেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি ডা: মানিক সাহা এবং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। আজ রাতেই সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সাথে তাঁরা বৈঠক করবেন। স্বাভাবিকভাবে, আবারও বাড়ল মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে জল্পনা। কারণ, ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের সময় খুবই কম রয়েছে। এখনই ঘর গুছিয়ে নিতে হবে বিজেপির। কারণ, হটাত করে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস শাসক জোটের ঘাড়ে শ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। তাতে, রাজনীতির নয়া মেরুকরণ খুবই শীঘ্রই দেখা যাবে, নিশ্চিত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
মূলত, গত কয়েকদিনে রাজ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। হটাত করেই তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে প্রধান বিরোধী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। অবশ্য, সিপিএম ও কংগ্রেসের যা শোচনীয় অবস্থা, তাতে আখেরে তৃণমূল ফায়দা তুলতে চাইবেই। গত কয়েকদিনে তাঁদের রাজনৈতিক গতিবিধি সেইদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌচেছে, সিপিএমও তৃণমূল ইস্যুতে সুর নরম করেছে। ফলে, শাসক দল বিজেপির এই জায়গায় কিছুটা ভাবতে হবেই। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাপটে হটাত সিপিএম ও কংগ্রেসকে শূন্য করে দিয়ে তৃণমূল প্রধান বিরোধী হয়ে উঠবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বিজেপির এখন খুবই সন্তর্পনে কদম বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সাথে শলা-পরামর্শ একান্তই জরুরি। তাই, দিল্লি ছুটে গেছেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের তালিকা নিয়ে দিল্লি গেছেন তাঁরা। এক্ষেত্রে, দুয়েকজনের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পরার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, কার কপাল খুলবে সে-বিষয়েই জল্পনা চলছে। সূত্রের দাবি, মিমি মজুমদার ও সুশান্ত চৌধুরীর মন্ত্রিসভায় আসার সম্ভাবনা প্রবল। এক্ষেত্রে ভগবান দাসকে নিয়েই রাজনৈতিক তরজার লড়াই চরমে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবেই ভগবান দাস পরিচিত। ফলে, হিসেব মেলানো কঠিন হয়েছে।
এদিকে, রাজ্যে পরবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রণকৌশল নিয়েই বিজেপি চিন্তায় পড়েছে। এক্ষেত্রে নতুন রণনীতি নির্ধারণে গুরুত্ব দিচ্ছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাছাড়া, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিও বিশেষ ভাবে ভাবাচ্ছে বিজেপিকে। অবশ্য, মন্ত্রিসভা রদবদলের মাধ্যমে নয়া রণনীতির প্রথম ধাপ উতরাতে চাইছে বিজেপি। মোক্ষম চাল এখানেই দেওয়া হবে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।