BRAKING NEWS

Crooked due to non-payment : কিস্তির বকেয়া টাকা মিটিয়ে না দেওয়ায় চাকরিচ্যুত শিক্ষকের বাড়ি ক্রুক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ আগস্ট।। কিস্তির বকেয়া টাকা মিটিয়ে না দেওয়ায় চাকরিচ্যুত শিক্ষকের বাড়ি ক্রুক করার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চড়িলাম গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় ডেপুটেশন প্রদান করেছে চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের সংগঠন। ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক চড়িলাম শাখায় মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় ডেপুটেশন প্রদান করেছে ১০৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা।তাদের দাবি রাজ্য সরকার করোনা পরিস্থিতিতে ঘোষণা করেছে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত লোনের ইএমআই দিতে হবে না। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছে বলে ১০৩২৩ শিক্ষকদের। ঋণের কিস্তির টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ।

গত বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক চড়িলাম শাখার পক্ষ থেকে ১০৩২৩ এর গ্রেজুয়েট শিক্ষক বিজয় দেববর্মার বিশ্রামগঞ্জ মাস্টারপাড়া বাড়ির সামনে একটি পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয়। বাড়িটি নাকি ক্রুক করেছে ব্যাংক । কোন রকম ইনফরমেশন দেওয়া হয়নি ব্যাংকের তরফ থেকে এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিজয় দেববর্মা। যদিও চাকরি যাবার পর থেকে বিজয় দেববর্মা বিশ্রামগঞ্জ বাড়িতে থাকেন না। চড়িলাম রংমালা এডিসি ভিলেজ কমিটির অন্তর্গত হেরমা এলাকায় থাকেন বিজয় বাবু। ব্যাংক যখন বাড়িটি ক্রুক করার নোটিশ লাগায় তখন পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন ফোন করে বিজয় বাবুকে ঘটনা জানান। বিজয় দেববর্মা ২০১৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক চড়িলাম শাখা থেকে ১০লক্ষ টাকা হাউজ লোন নিয়েছিলেন। ৫ লক্ষ টাকা চাকরি থাকাকালীন পরিশোধ করে দিয়েছিলেন।

যেদিন থেকে চাকরি নেই বেতন বন্ধ হয়েছে সেই দিন থেকে উনি আর লোনের ইএমআই দিতে পারছেন না। যার ফলে ব্যাংক এই পদক্ষেপ নিয়েছে।১০৩২৩ এর সংগঠন এর রাজ্য নেতৃত্ব অজয় দেববর্মা জানান উনারা নাকি গ্রামীণ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছেন যতদিন বিকল্প কর্মসংস্থান না হয় ততদিন যাতে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হয়। জেনারেল ম্যানেজার নাকি আশ্বস্ত করেছিলেন। তারপর হঠাৎ করে বিজয় দেববর্মা বাড়িতে নোটিশ লাগানোর ফলে চিন্তিত হয়ে পড়েন বিজয় দেববর্মা সহ ১০৩২৩ এর শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিজয় দেববর্মার প্রতি যাতে ব্যাংক সহানুভূতিশীল হয় তার জন্য রাজ্য নেতৃত্ব সহ বিজয় দেববর্মা চড়িলাম গ্রামীণ ব্যাংক এসে ডেপুটেশন দিয়েছেন। অবশ্য এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে গ্রামীণ ব্যাংকের তরফ থেকে কোনো ধরনের স্পষ্টীকরণ দেওয়া হয়নি। তাতে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *