BRAKING NEWS

লক্ষ্য আত্মসমর্পণ, ভুটানের জঙ্গল থেকে এনএলএফবি-র ২১ জনের তৃতীয় দল কোকরাঝাড়ে

কোকরাঝাড় (অসম), ১০ আগস্ট (হি.স.) : আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে বড়োল্যান্ডের নবগঠিত উগ্রপন্থী সংগঠন ‘ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্ৰন্ট অব বডোল্যান্ড’ সংক্ষেপে এনএলএফবি-র ২১ জনের সক্রিয় ক্যাডারের তৃতীয় দল আজ মঙ্গলবার সকালে অসমের বড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল রিজিওন (বিটিআর)-এর সদর কোকরাঝাড় জেলার অন্তর্গত ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী ঘন জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ঝাড়বাড়িতে এসেছে। এনএলএফবি-র প্ল্যাটুন কামান্ডার বি জাংখ্ৰিথাইয়ের নেতৃত্বে হাতে হাতে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভারতীয় সেনা পোশাক পরে খোলা আকাশের নীচে তারা এসেছে।

আজ সকালে ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী ঝাড়বাড়িতে জঙ্গল-ফেরত উগ্রপন্থীদের স্বাগত জানান শিঙিমারি গ্রামের বিপুল সংখ্যক জনতা। তাঁরা জলের বোতল এবং ফুল দিয়ে তাদের স্বাগত জানান। এনএলএফবি-র বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ক্যাডারও তাদের সহকর্মীদের মূলধারায় স্বাগত জানান। ‘এনএলএফবি জিন্দাবাদ’, ‘জৈ বড়ো হারিনি জৈ’ ধ্বনিতে এলাকার বাতাস গরম করে তুলেন জনতা।


প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী ঝাড়বাড়ির ঘন জঙ্গল থেকে ৩২ জন ক্যাডার এসেছিলেন। আজ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পৰ্বতঝড়ার শিঙিমারি গ্রামে হাতে হাতে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্ৰ নিয়ে ২১ জনের তৃতীয় দল মূল স্রোতে শামিল হতে এসেছে। উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই ২৩ জন ক্যাডারকে সঙ্গে নিয়ে অসম সরকারের কাছে অস্ত্রশস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করেছিলেন এনএলএফবি-প্রধান বিনোদ মুশাহারি ওরফে এম বাথা।


প্ৰথমে ২৩ জন, দ্বিতীয় দফায় ৩২ জন এবং আজ অর্থাৎ তৃতীয় দফায় ২১ জনকে নিয়ে এনএলএফবি-র মোট ৭৬ জন ক্যাডার সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে আবদ্ধ হতে জঙ্গল থেকে খোলা আকাশের নীচে এসেছে। তবে এখনও ১২৪ জন ক্যাডার আসার অপেক্ষা, জানান সদ্য আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি সংগঠনের ভাইস-চেয়ারম্যান বি বোকো। তিনি জানান, বাকি ক্যাডাররা স্বাধীনতা দিবসের আগে ওদালগুড়ি এবং শোণিতপুর জেলার কোনও স্থানে প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসবেন। বি বোকো আরও জানান, সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী পৃথ্বীরাজ নারায়ণদেব মেচ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *