ইসলামাবাদ, ৮ আগস্ট (হি.স.) : আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের নেতৃত্বে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ডাক পেল না পাকিস্তান। ১৫ সদস্যের কাউন্সিলের এই বৈঠকে আফগানিস্তানের ‘নিকটতম প্রতিবেশী’কে কেন ডাকা হল না তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করল পাকিস্তান। সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই বিষয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে।
বৈঠকে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তান। তাদের মতে, যেহেতু তারা আফগানিস্তানের নিকটতম প্রতিবেশী, তাই এই ওই দেশে শান্তি ফেরাতে গেলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি ছিল। উল্লেখ্য, বৈঠকে কেবল ভারত নয়। আফগানিস্তানও পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালিবানদের সাহায্য করার জন্য।
এদিকে বৈঠকে ভারত অভিযোগের আঙুল তুলেছে পাকিস্তানের দিকেই। যেভাবে পাকিস্তান তালিবানের মতো অসংখ্য জঙ্গি গোষ্ঠীর ‘স্বর্গ’ হয়ে উঠেছে, তার তীব্র বিরোধিতা করেছে নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি জানিয়েছেন, ”আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে জঙ্গিদের নিরাপদ স্বর্গ ও অভয়ারণ্যকে অবিলম্বে ধ্বংস করতে হবে।” তিনি পরিষ্কার বলেন, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলিতে সন্ত্রাসবাদ চলতে দেওয়া চলবে না। নাম না করলেও বুঝতে সমস্যা হয় না তিনি পাকিস্তানকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন।
এক মাসের জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ভারত। ২০২১-২২ সালে প্রথমবারের জন্য এই দায়িত্ব নিল ভারত। ফ্রান্সের হাত থেকে ১ আগস্ট ভারত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তার পরিষদের সভাপতিত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতের কার্যকাল শুরু হয়েছে ২ আগস্ট থেকে। তারপরই টি এস তিরুমূর্তি জানিয়েছিলেন যে ভারত কখনই দায়িত্বপালনে ভয় পায় না। বরাবারই সন্ত্রাসবাদ-সহ একাধিক ইস্যুতে সক্রিয় ভারত। প্রথম থেকেই দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী আগ্রাধিকার বিষয়গুলিতে মনোনিবেশ করা হয়েছে।