নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ আগস্ট।। রাজনৈতিক সংঘর্ষে ধলাই জেলায় কমলপুরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ ও টিএসআর এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের মাঝে পরে গুরুতর আহত হয়েছেন সিপিএম বিভাগীয় সম্পাদক রঞ্জিত ঘোষ(৭৭)। তাঁর মাথায় ও হাতে প্রচন্ড আঘাত লেগেছে। সিপিএমের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা তাঁকে রক্তাক্ত করেছেন। বিজেপি মন্ডলের দাবি, দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে রঞ্জিত বাবু গুরুতর আহত হন এবং তাঁকে বিজেপি কর্মীরাই পুলিশের গাড়িতে হাসপাতালে পাঠানোর করেছি। ঘটনাকে ঘিরে পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে আজ কমলপুর শহরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডিওয়াইএফআই আজ শহরে মিছিলের উদ্যোগ নিয়েছিল। সে মোতাবেক শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় কমলপুর বাস টার্মিনাসের সামনে স্থিত সিপিএম কার্যালয়ের তাঁরা জড়ো হয়েছিলেন। কিন্ত, বিজেপি কর্মীরা ছুটে এসে মিছিলে বাধা দেন এবং তাতে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এদিকে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেখে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। ওই সময়ে অটো দিয়ে যাচ্ছিলেন সিপিএম বিভাগীয় সম্পাদক রঞ্জিত ঘোষ। সিপিএমের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা তাঁকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ও হাত ফাটিয়ে দিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কমলপুর বিমল সিংহ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। কিন্ত তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিত্সকরা তাঁকে ধলাই জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কমলপুর শহরে বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। তবুও পরিবেশ থমথমে হয়ে রয়েছে। ফের দুই দলের মধ্যে হিংসাত্মক ঘটনা সংগঠিত হওয়ার আশংকা করছে পুলিশ। পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসন।
এদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় সিপিএমকে দায়ী করেছে বিজেপি। সাংবাদিক সম্মেলনে কমলপুর মন্ডল সভাপতি প্রশান্ত সিনহা বলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সিপিএম নানা ভাবে চক্রান্ত করে চলেছে। আজ বিজেপি কর্মীদের মিছিলে সিপিএম সর্মথকরা হামলা চালিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাতে, দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং তখনই রঞ্জিত বাবু মাঝখানে পরে যান। তাতে তিনি গুরুতর আহত হন। প্রশান্ত সিনহার দাবি, বিজেপি কর্মীরা আহত রঞ্জিত ঘোষকে পুলিশের গাড়ি এনে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। অথচ, এখন উল্টে সিপিএম সমস্ত দোষ বিজেপির ঘাড়ে চাপাচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও পরিস্থিতি এখন সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহর জুড়ে পর্যাপ্ত পুলিশ, টিএসআর এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।

